ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),খেলাধূলা প্রতিনিধি,২৫ জানুয়ারি : এ যেন সিনেমাকেও হার মানায়! প্রিয় মানুষের কণ্ঠ শুনে কোমায় থাকা রোগীর সাড়া দেওয়াটা সেলুলয়েডের ফিতায় দেখা মেলে হরহামেশাই। কিন্তু বাস্তবে এমনটা দেখা গেলো। ভিডিও বার্তায় সিরি আ ক্লাব রোমার লিজেন্ড ফ্রান্সেস্কো টট্টির কণ্ঠ শুনে জেগে উঠলেন ৯ মাস ধরে কোমায় থাকা এক তরুণী। তাকে দেখতে হাসপাতালেও গেছেন ইতালির বিশ্বকাপ জয়ী মিডফিল্ডার।
১৯ বছর বয়সী ইলেনিয়া মাতিল্লি লাৎসিওর নারী দলে খেলেন। কিন্তু স্থানীয় প্রতিপক্ষ রোমারও সমর্থক, যে ক্লাবে পুরো সময় কাটিয়ে দিয়েছেন টট্টি। তার প্রতি যে এই তরুণীর এতটা ভালোবাসা, তা বোঝা গেলো এই নাটকীয় ঘটনায়। ডিসেম্বরের ১৫ তারিখ থেকে কোমায় ছিলেন ইলেনিয়া, এক গাড়ি দুর্ঘটনায় তার বন্ধু মারা গেলেও বেঁচে যান তিনি। কিন্তু গত ৯ মাস ধরে হাসপাতালের বেডে পড়ে আছেন অচেতন হয়ে।
শেষ পর্যন্ত ইলেনিয়া জাগলেন টট্টির কণ্ঠ শুনে। অনুপ্রেরণা দিয়ে একটি ভিডিও পোস্ট করেছিলেন রোমা লিজেন্ড, যা শুনানো হয়েছিল এই তরুণী ফুটবলারকে। ‘হাল ছেড়ো না, তুমি অবশ্যই পারবে। আমরা সবাই তোমার সঙ্গে আছি।’, টট্টির কণ্ঠে এই বার্তা শুনে সাড়া দিয়েছেন বলে জানিয়েছে ইলেনিয়ার পরিবার।
রোমের গেমেলিয়া হাসপাতালে সোমবার যান টট্টি। সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটা (সাক্ষাৎ) ছিল চমৎকার। আমার জন্য ছিল মর্মস্পর্শী এবং আশা করি তার জন্য ছিল আরও অনেক বেশি কিছু। আমি খুব খুশি। সে কথা বলতে পারছে না কিন্তু আমরা আলিঙ্গন করেছি এবং সে কাঁদতে (আনন্দে) শুরু করলো।’
এবার হাসপাতালের বাইরে তার এই ভক্তের সঙ্গে দেখা করতে চান টট্টি, ‘যদি জানতাম এটা (রেকর্ডিং) তাকে সাহায্য করবে, তাহলে আমি আরও আগে ভিডিও পাঠাতাম। সে হাসপাতাল ছাড়লে আবার দেখা করবো।’
ইলেনিয়ার বাবা-মা জানান, কোমায় থাকার সময় তাদের মেয়ের জন্য প্রায় রোমা ফুটবল দলের সঙ্গীত বাজাতেন। টট্টি হাসপাতালে এসে দেখা করায় তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন ইলেনিয়ার বাবা, ‘এই দিনটা আমরা আজীবন মনে রাখবো। ফ্রান্সেস্কো সবসময় স্বতঃস্ফূর্ত, মনে হচ্ছিল আমার ভাইয়ের সঙ্গে কথা বলছি। তিনি খুব ভালো মানুষ।’