ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ষ্টাফ রিপোর্টার,১৮ জানুয়ারি ২০২১ : নরসিংদী জেলার পলাশ উপজেলার পলাশ সার কারখানার ভিতরে তুষার এন্টারপ্রাইজের নামে প্রতিদিন লক্ষাধিক টাকার চাঁদা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, একটি তথ্য সূত্র মতে জানা যায় এশার কারখানাটি বাংলাদেশ সরকারের একটি রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান এই সার কারখানায় সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে বিভিন্ন পাবলিক এন্টারপ্রাইজকে স্যার আনলোডিং করার জন্য প্রতি দুই বছর পর পর জিএম কমার্শিয়াল শাখা হতে টেন্ডার গ্রহণ করা হয় আর টেন্ডারের মাধ্যমে সার আনলোডিং এর জন্য বিভিন্ন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাছ থেকে দরপত্র গ্রহণ করা হয় , সরকারি নিয়ম মতে অন্তত দুই বছর পর পর জাতীয় পত্রিকার মাধ্যমে এই দরপত্র আহবান করতে হয় কিন্তু তার ব্যতিক্রম পলাশ সার কারখানায় একই প্রতিষ্ঠানের প্রায় 14 বছর একটানা জিএম কমার্শিয়াল শাখার এ কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এই কাজ প্রতিবছর হাতিয়ে নিচ্ছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান তুষার এন্টারপ্রাইজ যার স্বত্বাধিকারী আল মুজাহিদ হোসেন তুশার। চাঁদাবাজির বিষয়টি আমাদের প্রতিনিধির কাছে খবর আসলে ঢাকা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন করতে নরসিংদীর পলাশ সার কারখানা এলাকায় গোপনে তদন্ত চালায়, তদন্তে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল তুষার এন্টারপ্রাইজের নামে প্রতিদিন ট্রাক নৌকা কার্গো থেকে 1 লক্ষ থেকে 1 লক্ষ 20 হাজারের মতো প্রতিদিন চাঁদা আদায় হচ্ছে আনলোডিং এর নামে। প্রতিটা সার লোড করতে ট্রাকপ্রতি দিতে হয় আষটো শ থেকে বারোশো টাকার মতো প্রতিদিন 100 ট্রাকে স্যার লুট করা হয় সরকারের নিয়ম মতে যে কোন পরিবহনে স্যার লোড করতে টনে 20 টাকা 50 পয়সা সরকারি দপ্তর থেকে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে স্যার লোড করতে দেওয়া হয়। সরকারের কাছ থেকে প্রতিটনে 20 টাকা 50 পয়সা স্যার আনলোড করতে সরকারিভাবে এ টাকা পেয়ে থাকে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান, কিন্তু সরকারি টাকা পাওয়ার পরও প্রতিমাসে প্রায়ই 30 থেকে 35 লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করছে তুষার এন্টারপ্রাইজ । এদিকে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন পরিবহন ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি মাঝে স্যার লোড করতে প্রতি গাড়িতে দিতে হচ্ছে আট থেকে বারোশো টাকা পর্যন্ত চাঁদা । এদিকে ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির এক মালিক আমাদের প্রতিনিধি কে দেখে বলতে থাকে ভাই আমরা পেটের দায়ে আনলোডিং ব্যবসা করি এ ট্রাক আমাদের পরিবারের একমাত্র মাধ্যম আপনারা আমাদের ট্রাকের কোন ছবি তুলে আমাদের বিপদে ফেলবেন না আর আমি যে কথা বলতেছি দয়া করে রেকর্ড করবেন না যদি করেন আর প্রকাশ হয় তাহলে আমার ট্রাকসহ আমাকে পলাশ ছারতে হবে , কারণ একটু সার এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী পলাশ আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক তার রয়েছে বিশাল সন্ত্রাসী বাহিনী আমরা এ নিরব চাঁদাবাজির শিকার হয়ে আসছে প্রতিদিন প্রকাশ করলে আমাদের আর লুট করতে দিবেনা এবং নেমে আসবে আমাদের উপর অত্যাচার তাই নিরবে সহ্য করে চাঁদা দিতে হচ্ছে আমাদের আপনারা সাংবাদিক মানুষ আপনারা আমাদের নাম প্রকাশ না করে দেখেন আমাদের এ চাঁদাবাজদের হাত থেকে রক্ষা করতে পারেন কিনা এরকম কথা গুলি বলতে বলতে আর 34 জন ট্রাক ড্রাইভার এসে উপস্থিত হন পলাশ খানে পুর ট্রাক স্ট্যান্ড এর কিনারে একটি চার দোকানে , ওই সময় অন্য একটি ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির মালিক জানাই সাংবাদিক ভাইয়েরা আপনারা ঢাকা থেকে এসেছেন প্রতিবেদন করার জন্য প্রতিবেদন করে চলে যাবেন পত্রিকাও টিভিতে প্রচার করবেন যদি গোপন তথ্য প্রকাশ হয় আর আমাদের নাম আসে আর আমাদের রক্ষা নেই তাহলে আমাদের ধরে নিয়ে গিয়ে ট্রাকসহ আমাদের জ্বালিয়ে দেওয়া হবে আগুনে। অথবা গুলি করে মেরে শীতলক্ষ্যায় ভাসিয়ে দিবে এই যুবলীগ নেতার সন্ত্রাসী বাহিনীরা। আমরা তথ্য দিতে পারি কিন্তু নাম প্রকাশ করা যাবেনা। আমাদের প্রতিবেদকনামে একক আধিপত্য চাঁদা বাহিনীর গোপন রহস্য, মুজাহিদুল আল তুষারের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তুষার এন্টারপ্রাইজের চাঁদাবাজির গোপন তথ্য , কালিগঞ্জ মুক্তারপুর ইউনিয়নের 8 নং ওয়ার্ডের ট্রাক ড্রাইভার জানান নাম প্রকাশ করবেন না তাহলে আপনাকে পুরো তথ্য দিচ্ছি। একটু স্যার প্রায় 14 বছর যাবৎ আমাদের প্রত্যেক ট্রান্সপোর্ট থেকে হাজার থেকে বারোশো টাকা পর্যন্ত আনলোড করতে চাঁদা নেন। যেটা বেআইনি সার আনলোড লোড করতে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কে সরকার 20 টাকা 50 পয়সা করে দিয়ে থাকেন প্রতি টনে । এ টাকা নেওয়ার পরও সরকারের কিছু অসাধু কর্মকর্তা কে ম্যানেজ করে সরকারের এই প্রতিষ্ঠানকে লুটেপুটে খাওয়ার জন্য গড়ে তুলেছেন তুষার এন্টারপ্রাইজের অন্তরালে বিশাল এক সন্ত্রাসী চাঁদাবাজ বাহিনী চাঁদাবাজ সন্ত্রাসী বাহিনীর গডফাদার হলো পলাশ উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদুল হোসেন তুষার।আমরা ট্রান্সপোর্ট কোম্পানির চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে আমাদের সার আনলোডিং করতে দেওয়া হয় না। প্রতিবাদ করলে ট্রান্সপোর্ট কোম্পানি পলাশে করতে দিবেনা বলে নানা হুমকিসহ বাধা আসে। আরও তথ্য জানার জন্য আমাদের প্রতিবেদক কারখানার ভিতরে গেলে মিলে তার সত্যতা। কারখানার ভিতরে কোন ছবি তুলতে দেয়নি কারখানার রক্ষিত আনসার বাহিনী। কিন্তু ততক্ষণে আমাদের প্রতিনিধিদের সাথে থাকা গোপন ক্যামেরায় তাদের কথাবার্তা রেকর্ড হতে থাকে। সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এজিএম তে শুরু করে জিএম পর্যন্ত শুরু হয় ফোনের মাধ্যমে নানান আলোচনা জিএম কমার্শিয়াল সাংবাদিকদের দেখে বলতে থাকেন আমরা কোনো তথ্য দিতে পারব না। ঢাকা হেড অফিসে যোগাযোগ করেন। অনেক কষ্টের পরে নিচতলা উপর তালা ঘুরিয়ে জিএম কমার্শিয়াল আতিকুর রহমান জানান। আমরা স্যার প্রতি টন এ আনলোড করার জন্য করার ২০ টাকা ৫০ পয়সা করে দিয়ে থাকি সরকারি নির্ধারণ করা তালিকা । বছরে দুই বছর পর পর টেন্ডারের মাধ্যমে মূল্য নির্ধারণ করে সেগুলোর মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে দরপত্র ক্রয় করে। আহ্বান করে লটারির মাধ্যমেযে প্রতিষ্ঠানের শর্ত পূরণ করে এ কাজ করতে পারবে তাদেরকে দেওয়া হয়। আমাদের প্রতিবেদক জি এম আতিকুর রহমান কমার্শিয়াল কে প্রশ্ন করলে সরকারিভাবে অন্তত দুই বছর পর পর টেন্ডারের মাধ্যমে মূল্য নি