মীর কাসেমের পাচারের টাকা ফেরাতে আইনি প্রক্রিয়ায় দুদক

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,২৮ ডিসেম্বর : যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর যুক্তরাষ্ট্রে ২৫ মিলিয়ন ডলার পাচারের তথ্য চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটে (বিএফআইইউ) চিঠি পাঠিয়েছে দুদক। মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া যুদ্ধাপরাধী মীর কাশেম আলীর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করা সেই ২৫ মিলিয়ন ডলার বা প্রায় সোয়া ২শ’ কোটি টাকা দেশে ফেরাতে তৎপর হয়েছে দুদক। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) কাছে বিস্তারিত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেইসঙ্গে অর্থপাচারের বিষয়ে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তাও জানতে চেয়েছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থাটি।

মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এবং নিজে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বিভিন্ন দেশে প্রভাবশালী লবিস্টদের পেছনে বিপুল পরিমাণ অর্থ ঢেলেছেন জামায়াত নেতা মীর কাশেম আলী।তবে, শেষ রক্ষা হয়নি।যুদ্ধাপরাধের দায়ে ২০১৬ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর ফাঁসিতে ঝুলিতে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়।দুদকের নথিপত্র বলছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের চোখ ফাঁকি দিয়ে আমেরিকার সিটি ব্যাংক এনএ’র মাধ্যমে ইলেকট্রনিক ট্রান্সফার পদ্ধতিতে দেশটির কেসিডি অ্যান্ড অ্যাসোসিয়েটসের হিসাব নম্বরে ২৫ মিলিয়ন ডলার পাঠানো হয়েছিলো। প্রায় ৯ বছর আগে এ বিষয়ের তদন্ত শুরু করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা প্রতিষ্ঠান বিএফআইইউ।মীর কাশেম আলীর সেই ২৫ মিলিয়ন ডলার ফেরাতে কার্যক্রম শুরু করেছে এখন দুদকের মানি লন্ডারিং ইউনিট। এরইমধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাঠানো হয়েছে আইনি সহায়তামূলক চিঠি এমএলএআর। বিএফআইইউ কি ব্যবস্থা নিয়েছে তার তথ্যও জানতে চেয়েছে দুদক।দুদক কমিশনার (তদন্ত) এএফএম আমিনুল ইসলাম জানান, পাচার করা ২৫ মিলিয়ন ডলার ফেরাতে কি ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তা জানতে চেয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিটকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আইনি চেষ্টার মাধ্যমে মীর কাশেম আলীর ২৫ মিলিয়ন ডলার ফেরানো সম্ভব মনে করেন দুদক কমিশনার।