ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,১৮ প্রতিনিধি,১৮ ডিসেম্বর : প্রথমে ভালো বেতনে চাকরির প্রস্তাব, এরপরে লোভনীয় ব্যবসার টোপ। টার্গেট অবসরপ্রাপ্ত উচ্চপদস্থ সামরিক-বেসামরিক কর্মকর্তারা। এমন ফাঁদ পেতে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। অবশেষে গোটা প্রতারক চক্রটি ধরা পড়েছে গোয়েন্দা জালে। যার মূলহোতা এক ইউপি চেয়ারম্যান।
পাঁচতারা হোটেলে আয়েশি ভঙ্গির পানাহার, দেখে মনে হতে পারে অভিজাত শ্রেণীর মানুষ। জৌলুস আর বাহ্যিক চাকচিক্যের মোড়কে নিজেদের পরিচয় দেন শিল্পপতি হিসেবে।
এই ভাবনার ফাঁদে ফেলে পরিচিত হন সামরিক-বেসামরিক অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের সাথে। দেয়া হয় দেশি-বিদেশি যৌথ প্রকল্পে লোভনীয় চাকরির অফার। এই টোপ গিললে ব্যবসায়িক অংশীদার হবার নতুন প্রস্তাব।
বিশ্বস্ততা অর্জনে কখনো ভারতীয় মারোয়ারী শিল্পপতি সাজেন, কখনো বসান মদ-জুয়ার আসর। বশে আনতে সবই করা হয়। এক পর্যায়ে ফাঁদে ফেলে হাতিয়ে নেয় কোটি কোটি টাকা। এই চক্রের মূলহোতা আবার জনপ্রতিনিধি, মাদারীপুরের কালকিনি উপজেলার ঘটমাঝি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান।
চক্রটির ফাঁদে পড়ে অনেক কিছু খুইয়েছেন ভুক্তভোগীরা। এতো বুদ্ধি খাঁটিয়ে প্রতারণা করলেও অবশেষে ধরা পড়ে গোয়েন্দা জালে।
পুলিশ জানায়, রাজধানীর অভিজাত এলাকায় বাসা-ভাড়া নেয় চক্রটি। আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর চোখকে ফাঁকি দিতে কালক্ষেপন করে দিতেন না, প্রকৃত নাম-ঠিকানা কিংবা জাতীয় পরিচয়পত্র। একেকজনকে প্রতারিত করে সপ্তাহখানেকের মধ্যেই বাসা ছেড়ে দিতো।
বিনিয়োগ কিংবা বাসা ভাড়া সব ক্ষেত্রেই মানুষকে আরও সচেতন হবার পরামর্শ আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর।