ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),চট্টগ্রাম প্রতিনিধি,০১ অক্টোবর : ১৭ মাস আগে চট্টগ্রামের হালিশহরে পাওয়া দগ্ধ মরদেহের পরিচয় আসলে কী? হাইকোর্টের এক আদেশের পর নতুন করে এ প্রশ্ন সামনে এসেছে। কেননা, এটা যার মরদেহ বলে পুলিশ দাবি করেছিল, সম্প্রতি তিনি ফিরে আসায় রহস্য দানা বেধেছে। এ ঘটনায় দুজন হত্যার দায় স্বীকার করে যে জবানবন্দি দিয়েছে তা নিয়েও উঠেছে গুরুতর অভিযোগ।
পাঁচদিন পর পুলিশ জীবন আর দুর্জয় নামে দুই যুবককে আটকের পর দাবি করে, নিহত ব্যক্তির নাম দিলীপ। এ দুজনই হত্যা করেছে তাকে। আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছে তারা, এমন দাবিও করে পুলিশ।
তবে মঙ্গলবার এই মামলায় এক আসামীর উচ্চআদালতে জামিন শুনানীতে প্রকাশ হয়, যে দিলীপকে হত্যার কথা বলা হয়েছে, তিনি জীবিত আছেন। শুনে বিস্ময় প্রকাশ করেন আদালত।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, যে দিলীপকে হত্যার কথা বলা হচ্ছে, তার সাথেই একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন জীবন আর দুর্জয়। স্বজনদের অভিযোগ, পুলিশ আটকের পর নির্যাতন করে দুজনকে স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করেছে।
অভিযোগ, পুলিশের সোর্স পলাশই ফাঁসিয়ে দিয়েছে জীবন আর দুর্জয়কে। তবে তা অস্বীকার করেন পলাশ।
দুজনকে আটকে নেতৃত্ব দেন হালিশহর থানার তৎকালীন এসআই মাহবুব মোরশেদ। তিনি এখন হবিগঞ্জে। আর জীবিত দিলীপকে হাজির করেন বর্তমানে সিলেটে কর্মরত হালিশহর থানার সাবেক কর্মকর্তা সাইফ উল্লাহ।
প্রশ্ন উঠেছে, তাহলে যে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে সেটি কার?
তবে যে দিলীপকে ঘিরে এত কথা, নানা জায়গায় খোঁজ নিয়েও তার সন্ধান মেলেনি। এই মামলায় ২২ অক্টোবর দুই আসামী ও দিলীপসহ তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হতে বলেছেন হাইকোর্ট।