ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),হিলি স্থলবন্দর প্রতিনিধি,১৭ সেপ্টেম্বর : লিখিত অনুমতিপত্র না পাওয়ায় হিলি স্থলবন্দরেই পচে যাচ্ছে অন্তত ৩শ’ ট্রাক বা প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ। এলসি জটিলতায় এসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশ করছে না বলে জানা গেছে। আগের এলসি করা পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক দাঁড়িয়ে আছে ভারতের অভ্যন্তরে। ভারত সরকার পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধের পর গেলো রোববার আগে টেন্ডার হওয়া পেঁয়াজগুলো আমদানির অনুমোদন পায় বাংলাদেশের আমদানিকারকরা। তবে লিখিত অনুমোদন না আসায় বৃহস্পতিবারও (১৭ সেপ্টেম্বর) আসেনি ভারতীয় পেঁয়াজ।
এরিমধ্যে ট্রাকগুলোতে বোঝাই করা পেঁয়াজ পচতে শুরু করেছে। কিছু কিছু ট্রাক থেকে পেঁয়াজ পচা পানি ঝরতেও দেখা গেছে।
আগের করা এলসির টাকা জমা দেয়া হয়েছে ভারতের ব্যাংকে। দিয়ে দেয়া হয়েছে গেটপাসও। এরপর ট্রাক আটকে দেয়াকে অন্যায় বলছেন বাংলাদেশের ব্যবসায়ীরা। তারা বলছেন, সময় যত গড়াচ্ছে ততই এসব পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে।
এক ব্যবসায়ী বলেন, এমনিতেই খুব গরম পড়েছে। এরমধ্যে বৃষ্টিও হচ্ছে। যা অবস্থা তাতে দ্রুত ব্যবস্থা না নিলে সব পেঁয়াজ পচে যাবে।
ভোমরা স্থলবন্দর সিএন্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশন-এর সভাপতি এইচ এম আরাফাত বলেন, পেঁয়াজগুলো এরই মধ্যে আমদানির জন্য বাংলাদেশ কাস্টমস ভারতের গোজাডাঙ্গা কাস্টমসকে গেটপাস দিয়েছে। তারপরও অন্যায়ভাবে তারা আমাদের পেঁয়াজ আটকে রেখেছে। অনতিবিলম্বে যদি এই জটিলতার অবশান ঘটানো না হয় তাহলে আমরা ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হব। এরই মধ্যে এলসির কোটি কোটি ডলার ভারতের ব্যাংকে জমা দেয়া হয়েছে। তারপরও নীতি বহির্ভূতভাবে তারা পেঁয়াজ আটকে রেখেছে।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ভারতীয় রপ্তানিকারকেরা প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ২৫০ থেকে ৩০০ ডলারে রপ্তানি করছিলেন। কিন্তু ভারতে পেঁয়াজের মূল্য দ্বিগুণের বেশি হয়ে যাওয়ায় ওই মূল্যে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছেন তারা। ভারতের বাজারমূল্যের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নতুন এলসি মূল্য নির্ধারণ করার জন্যই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ভারতের ব্যবসায়ীরা ওই দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতি মেট্রিক টন পেঁয়াজ ৭৫০ ডলার নির্ধারণ করার জন্য প্রস্তাব করেছেন।
কিন্তু নিয়ম অনুযায়ী আগে এলসি করা পেঁয়াজ আগের দামেই বাংলাদেশকে দিতে হবে। তারা সেটি না করে পেঁয়াজগুলো আটকে দিয়েছে ভারত। যেটা ঘোরতর অন্যায় বলে মনে করেন ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজ না আসায় মাত্র একদিনের ব্যবধানে দ্বিতীয় দফায় হিলিতে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। দাম নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতে এলসি করা পেঁয়াজ বাংলাদেশে প্রবেশের ব্যবস্থা করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করেন ব্যবসায়ীরা।