ঘোড়াঘাটের ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার পেছনের রহস্য ও এর সঙ্গে জড়িত গডফাদারদের খুঁজে বের করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভাপতি ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকের পর তিনি এ তথ্য জানান।
মোজাম্মেল হক বলেন, ‘আপনারা শুনেছেন ইতিমধ্যে ইউএনওদের বাসভবনে পুলিশ মোতায়েন করেছি যাতে তাদের রাত্রীকালীন নিরাপত্তা থাকে। আজকে আমরা সংশোধন করে বলেছি, পুরো উপজেলা কমপ্লেক্সে নিরাপত্তা দিতে, কারণ সেখানে আরও অফিসার থাকেন। সেখানে অনেক অফিসারই পরিবার নিয়ে বাস করেন, তাদেরও নিরাপত্তার প্রশ্ন রয়েছে।’তিনি বলেন, ‘একই সঙ্গে ইউএনওর বাসায় চুরির ঘটনা, এটা মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্য হয়নি। কী কারণে তার ওপর হামলা হয়েছে? আমরা এর নিন্দা তো করেছি, আরও ইনভেস্টিগেশনের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাকে নির্দেশ দিয়েছি, পেছনে আর কী রহস্য রয়েছে। এটার গডফাদার কোথায় বা কারা সেগুলো দেখার জন্য।’কক্সবাজারে মেজর (অব.) সিনহা হত্যা ও ইউএনও ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলার বিষয়ে বৈঠকে কী আলোচনা হয়েছে- জানতে চাইলে মোজাম্মেল হক বলেন, ‘কক্সবাজারে মেজর (অব.) হত্যার তদন্ত যৌথভাবে হচ্ছে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুসারে যাতে আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ হয়, দোষীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে।’মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে প্রচলিত আইনে কেউ যদি অন্যায় করে তার বিরুদ্ধে প্রতিকার চাওয়ার জায়গা আছে। কারও যদি অভিযোগ থাকে রাতে হামলা করা…এতে সরকারি কর্মচারীরা কাজে উৎসাহ হারিয়ে ফেলবে, ভীত সন্ত্রস্ত হয়ে যাবে। কাজেই আমরা তাদের নিরাপত্তার জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছি।ওয়াহিদার ওপর হামলায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ একজনকে আটক করলেও স্থানীয় একজন সংসদ সদস্য প্রভাব খাটিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছেন বলে একজন সাংবাদিক মন্ত্রীকে জানান।এর জবাবে মোজাম্মেল হক বলেন, কেউ আমরা আইনের ঊর্ধ্বে নই। যাকে ছাড়িয়ে নেওয়া হয়েছে, তার সম্পৃক্ততা গোয়েন্দা সংস্থা খতিয়ে দেখছে। তার যদি সম্পৃক্ততা থাকে এবং তাকে প্রভাব খাটিয়ে ছাড় করিয়ে নেওয়ার জন্য যদি এমপির সম্পৃক্ততা থাকে তবে তিনিও আইনের ঊর্ধ্বে থাকবেন না।