ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঘোড়াঘাট প্রতিনিধি,০৮ সেপ্টেম্বর :ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা উমর আলী শেখকে হত্যা চেষ্টা মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইউএনও’র গাড়ি চালক হাফিজ ও ইয়াসিন নামের দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার পর তাদেরকে আটক করে পুলিশ। বর্তমানে থানা হেফাজতে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এর আগে গৃহকর্মী জবেদা ও আসোলাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করলেও তাদের মধ্যে জবেদাকে ছেড়ে দেয় পুলিশ এবং আসোলাকে এখনও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
এদিকে রোববার (০৬ সেপ্টেম্বর) রিমান্ডে নেওয়া আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে গোয়েন্দা সংস্থা (ডিবি)। সোমবার সারাদিন জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে ডিবি হেফাজতে তিন আসামি ছাড়াও আরো ৫ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ইমাম জাফর এর নেতৃত্বে ৭ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রধান আসামি আসাদুল ইসলাম, সহযোগী নবিরুল এবং সেন্টুকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনজনের কাছে পাওয়া তথ্য মিলিয়ে ঘটনার নেপথ্যসহ সব বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ চিত্র বের করার চেষ্টা করছেন তিনি।
ঘটনাটি চুরির বলে দাবি করা হলেও তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির পরিদর্শক ইমাম জাফর রোববার বলেছেন, এর পেছনে অন্য কোনো কারণ রয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সে বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ৭ দিনের সময় পাওয়ায় ধীরস্থিরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন ওই তদন্ত কর্মকর্তা।
এছাড়া প্রধান আসামি আসাদুলের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম শাওন, বাগানের মালি সুলতান কবির এবং (গ্রেফতার সেন্টুর নিকট আত্মীয়) আদ্দাল্লি (পিওন) শ্যামল কুমারকে শনিবার থেকে হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছে ঘোড়াঘাট থানা পুলিশ।
তবে ঘোড়াঘাট থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, এই পাঁচজনকে গ্রেফতার অথবা আটক দেখাননি তারা। তথ্য জানতে শুধু জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
৪ সেপ্টেম্বর শুক্রবার আহত ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভাই শেখ ফরিদ উদ্দিন বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা সন্ত্রাসীদের আসামি করে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।