ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),বরগুনা প্রতিনিধি,২৬ জুলাই : ভালোবেসে বিয়ের ছয় মাস যেতে না যেতেই শ্বশুরবাড়িতে কিশোরী স্ত্রীকে হত্যা করে লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালিয়ে যান স্বামী ইয়াছিন।
শনিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন ইয়াছিন। এর আগে শুক্রবার (২৪ জুলাই) সকালে বরগুনা সদর ইউনিয়নের কালীরতবক গ্রামে বাবা আনোয়ার খানের বাড়ি থেকে স্বর্ণার (১৬) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার পরপরই পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হন স্বামী ইয়াছিন (২৩)।
ইয়াছিন সদর উপজেলার ধুপতি-সুজার খেয়া এলাকার আবু সালেহ মুসল্লির ছেলে। পেশায় রাজমিস্ত্রি। তার স্ত্রী স্বর্ণা কালীরতবক এলাকার চায়ের দোকানদার আনোয়ার খাঁর মেয়ে।
বরগুনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কে এম তারিকুল ইসলাম ঘটচনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
ওসি তরিকুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়। সুরতহাল রিপোর্ট শেষে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বরগুনা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরে মোবাইল ফোন ট্র্যাকিং করে বরগুনার কেজি স্কুল সড়কের একটি বাড়ি থেকে ইয়াছিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
স্বর্ণার মা মাহমুদা বেগম জানান, ইয়াছিন তিন দিন ধরে তাদের বাড়িতেই ছিল। বেশির ভাগ সময়ই স্বর্ণা এবং ইয়াছিন ঘরেই থাকত। স্বর্ণার বাবার স্থানীয় কালীরতবক স্লুইজ এলাকায় একটি চায়ের দোকান আছে। চায়ের দোকানে স্বামীকে সাহায্য করেন তিনি। শুক্রবার সকালেও ইয়াছিন এবং স্বর্ণা একত্রেই তাদের ঘরে ছিল। সকাল ১১টার দিকে ইয়াছিন তার কাছে ফোন করে জানায়, স্বর্ণাকে একাধিকবার ফোন করা হলেও স্বর্ণা তা ধরছে না। বাড়িতে গিয়ে স্বর্ণার কিছু হয়েছে কি না তা দেখতে অনুরোধ করে ইয়াছিন। বাড়ি গিয়ে তিনি মেয়ে স্বর্ণার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।
বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ ও প্রশাসন) মো. মফিজুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রী স্বর্ণাকে হত্যার পর গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ঝুলিয়ে রাখার কথা স্বীকার করেছে ইয়াছিন। স্বর্ণাকে হত্যার পর তার লাশ ঝুলিয়ে রেখে পালায় ইয়াছিন। পরে চালাকি করে তার শাশুড়ির মোবাইলে ফোন দিয়ে স্বর্ণার কিছু হয়েছে কি না তা দেখার জন্য বলে। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।