ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ঢাকা প্রতিনিধি,২৫ জুলাই : ঈদুল আজহার বাকি ছয় দিন থাকলেও এখনো গাবতলী পশুর হাট জমে উঠেনি। করোনার পাশাপাশি হাট প্রস্তুত না হওয়ায় ব্যবসায়ী এবং ক্রেতাদের সমাগমও কম।
বিক্রেতারা বলছেন, দু-একদিনের মধ্যেই ঢাকার বাইরে থেকে গরু আসা শুরু হবে। ঈদের তিনদিন আগে থেকে পুরোদমে কেনাবেচা বাড়বে।
শুক্রবার (২৪ জুলাই) গাবতলী হাটে গিয়ে দেখা যায়, প্রস্তুত হচ্ছে পশুহাট। বাঁশের মাচা বানানো, সামিয়ানা ও ত্রিপল বিছানোর কাজ চলছে। ইজারাদার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কোরবানির হাট মূলত জমে উঠবে ঈদের তিন চারদিন আগে। এখনো গরু নিয়ে আসা শুরু করেনি ব্যাপারীরা। তবে এখন ছাগল বিক্রি হচ্ছে। কিছু গরুও বিক্রি হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, জুমার নামাজের পর কিছু দর্শনার্থী হাটে এসেছেন। তারা ছাগল দেখছেন। স্থানীয় ব্যবসায়ীদের আনা গরু দেখছেন। দাম যাচাই করছেন। দু-একজন কিনলেও অধিকাংশই কিনছেন না। তারা ঈদের এক-দুই দিন আগে পশু কিনবেন।
সেলিম হোসেন নামের একজন ক্রেতা বলেন, যে গরু গত বছর দেখলাম ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা, সে গরু এখন চাওয়া হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ হাজার টাকা। দেখি শেষের দিকে হয়তো দাম কমবে। তখন নেওয়া যাবে। আশা করছি, ঢাকার বাইরে থেকে গরু আসা শুরু হলে দাম কমবে।
ব্যাপারী মোসলেম মিয়া বলেন, কোরবানির বাকি এখনো প্রায় এক সপ্তাহ। বেচাকেনা শুরু হয়নি। অনেকে গরু নিয়েই আসেনি। আমি এই হাটে সারা বছর গরু বিক্রি করি। তাই আগে থেকেই হাটে গরু নিয়ে এসেছি। লোকজন আসছেন, দেখছেন। দু-একদিন পর হয়তো বিক্রি শুরু হবে।
তিনি বলেন, করোনাভাইরাসের কারণে এবার বিক্রি কম হতে পারে বলে মনে হচ্ছে। গত বছর এমন সময় হাটে গরু এসে ভরে যেত। ক্রেতারাও হাটে আসতো। কিন্তু এবার এখনো গরু আসা শুরু হয়নি। ক্রেতাও কম।
সাকিব হোসেন নামের একজন দর্শনার্থী বলেন, আমরা দুই বন্ধু মিলে কোরবানির হাট দেখতে এসেছি। এখন দেখে যাচ্ছি। ঈদের দুই বা তিনদিন আগে বাবাকে সঙ্গে নিয়ে গরু কিনতে আসবো।
তবে হাটে ছাগল বিক্রি করছেন ব্যাপারীরা। জুমার নামাজের পর ছাগল নিয়ে হাটে এসেছেন অনেক ব্যাপারী। ক্রেতারাও তাদের পছন্দ মতো ছাগল কিনছেন।
কথা হয় ছাগল কিনতে আসা মোহাম্মদ হান্নান হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আগে আগেই ছাগল কিনতে আসলাম। করোনার কারণে বাইরে বের হওয়া অনেক ঝুঁকি। তাই এখন কিনতে এসেছি।
বিক্রেতা মোহাম্মদ আসাদুল ইসলাম বলেন, আমি গতকাল ৯টি ছাগল নিয়ে কুষ্টিয়া থেকে এসেছি। এর মধ্যে ৫টি বিক্রি হয়েছে।