আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ড এবং ২১ আগস্টের গ্রেনেড হত্যাকাণ্ড একই সূত্রে গাঁথা। ১৫ আগস্টের প্রাইম টার্গেট ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আর ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের প্রাইম টার্গেট ছিলেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। আজও ষড়যন্ত্রকারীরা শেখ হাসিনাকে হত্যার নীলনকশা ও ষড়যন্ত্র বাস্তবায়নের অপচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।
মঙ্গলবার তার সংসদ ভবনের সরকারি বাসভবন থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দলের বিশেষ যৌথসভায় ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হয়ে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। পৃথিবীতে যত রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, নির্মমতা ও ষড়যন্ত্রের দিক থেকে ১৫ আগস্টের ঘটনা অন্য সব হত্যাকাণ্ডকে পেছনে ফেলেছে। এই হত্যাকাণ্ড থেকে বাদ পড়েনি অবুঝ শিশু থেকে অন্তঃসত্ত্বা নারীও।
ওবায়দুল কাদের বলেন, সব প্রতিকূলতাকে জয় করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈশ্বিক মহামারি করোনায় সৃষ্ট সংকট উত্তরণে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। জীবনের পাশাপাশি জীবিকা রক্ষার জন্য মানুষের কল্যাণে সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করে চলেছেন তিনি।
সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বলেন, ১৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের আবেগের দিন। শোক থেকে শক্তি সঞ্চয়ের দিন। জাতির পিতার আদর্শ ও চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশমাতৃকার কল্যাণে আত্মনিবেদনের শপথে আবদ্ধ হওয়ার দিন।
জাতীয় শোক দিবস ও শোকের মাস আগস্টের কর্মসূচি নির্ধারণে মঙ্গলবারের বিশেষ যৌথসভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় আাওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা ছাড়াও ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং দলেল সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা যোগ দেন। এ সময় সভায় উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগ এবং সহযোগী সংগঠন নেতারা জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আগস্ট মাসব্যাপী নিজ নিজ সংগঠনের প্রস্তাবিত কর্মসূচি তুলে ধরেন।
সভা থেকে শোকের মাস আগস্ট ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে স্বাস্থ্য সুরক্ষাবিধি মেনে ও ভার্চুয়াল আলোচনাসহ মাসব্যাপী কর্মসূচি বাস্তবায়নের আহ্বান জানানো হয়। এ সময় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সারাদেশে ১৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ‘মুজিববর্ষ’ উপলক্ষে চলমান বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি ও ত্রাণ তৎপরতা অব্যাহত রাখারও আহ্বান জানান নেতারা।
সভায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, দেলোয়ার হোসেন, ডা. রোকেয়া সুলতানা, সায়েম খান, আনোয়ার হোসেন, সাহাবুদ্দিন ফরাজী, আনিসুর রহমান আনিস প্রমুখ।