ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),আদালত প্রতিনিধি,২০ জুলাই : ১০ বছর পর অবশেষে ঘুম ভাঙল পুলিশের। তারা বলছেন, গ্রেফতারি পরোয়ানা হাতে পেলেও বাবার নাম না থাকায় এতদিন প্রতারক শাহেদ করিমকে গ্রেফতার করা যায়নি। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের গাফিলতি দেখছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
প্রতারক হিসেবে দেশে পরিচিত হওয়ার ১০ বছর আগেই প্রতারণার এক মামলায় ছয় মাসের কারাদণ্ড হয় রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান শাহেদ করিমের। তাকে গ্রেফতারে পরোয়ানাও জারি করেন আদালত। ১৫ জুলাই গ্রেফতারের আগ পর্যন্ত আইনের চোখে পলাতক আসামি হয়েই বঙ্গভবন, গণভবন, সেনাকুঞ্জসহ রাষ্ট্রীয় নানা অনুষ্ঠানে অংশ নেন তিনি।
পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও কেন তাকে এতদিন গ্রেফতার করা হয়নি এনিয়েও চলছে সমালোচনা। অনেকেই বলছেন, প্রশাসনকে ম্যানেজ করেই এই মামলায় গ্রেফতার এড়িয়েছেন তিনি। আদালতে শাহেদের মামলার নথি ঘেটে জানা যায়, তাকে হাজির করতে দু’দফা সমন দেয়া হয়। কিন্তু তার ঠিকানায় সমন পৌঁছেনি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলছেন, রায় ঘোষণার পর দণ্ড কার্যকরের দায়িত্ব পুলিশের। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ গাফিলতির পরিচয় দিয়েছে।
মহানগর দায়রা জজ আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট আব্দুস সাত্তার দুলাল বলেন, থানা কর্তৃপক্ষের গাফিলতি রয়েছে। পরবর্তী স্টেপ নিতে হলে থানা থেকে রিপোর্ট আসতে হবে। আসামি যদি এরেস্ট না হয়, অথবা তাকে পাওয়া যায়নি এমন রিপোর্ট না দিলেও কোর্ট ব্যবস্থা নিতে পারে না।
যদিও উত্তরা পূর্ব থানার ওসি এ বিষয়ে ক্যামেরার সামনে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তিনি বলেছেন, সাজা পরোয়ানায় শাহেদের বাবার নাম উল্লেখ না থাকায় তখন তাকে গ্রেফতার করা হয়নি।
বিষয়টি তদন্তের দাবি জানিয়েছেন সিনিয়র আইনজীবীরা।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান বলেন, কাজেই দুটো জায়গায় তদন্ত করা হয়েছে। এবং এটা গুরুতর লঙ্ঘন, এবং গুরুতর অপরাধ। এতে আদালতের প্রতি মানুষের আস্থাই থাকবে না।
উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ জানিয়েছে, শাহেদের পূর্ণাঙ্গ পরিচয় নিশ্চিত হওয়ায় এখন ওই মামলাতেও তাকে গ্রেফতার দেখানো হবে।
উত্তর পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ওই ওয়ারেন্টে যেটা ছিল, নাম লেখা ছিল শাহেদ। বাবার নাম ঠিকানা লেখা ছিল না। তাহলে কিভাবে আইডেন্টিফাই করা হতো। তখন কিন্তু বাদীর দায়িত্ব ছিল।