রিজেন্ট কেলেঙ্কারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ডিজিসহ ১২ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ

SHARE

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানাসহ ১০ থেকে ১২ জন কর্মকর্তাকে দুর্নীতি দমন কমিশন-দুদক জিজ্ঞাসাবাদ করবে।নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে রিজেন্ট হাসপাতালকে করোনা পরীক্ষার অনুমতি দেয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে দুদক তাদের তলব করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন দুদকে হাজির হতে তলবি নোটিশ পাঠাতে যাচ্ছে সংস্থাটি।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সাথে রিজেন্ট হাসপাতালের যে চুক্তি হয়, তাতে অর্থের বিনিময়ে করোনার নমুনা সংগ্রহের বিষয়টি ছিলো না। কিন্তু কোভিড নাইন্টিনের প্রতি টেস্ট বাবদ সাড়ে তিন হাজার টাকা করে নিতো রিজেন্ট হাসপাতাল।তাও রিপোর্ট দিতো ভূয়া।নথিপত্র বলছে, করোনার নমুনা পরীক্ষা নিয়ে রিজেন্ট হাসপাতালের জালিয়াতির বিষয়টি গত জুনের প্রথম সপ্তাহে নজরে আসে জাতীয় প্রতিষেধক ও সামাজিক চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান-নিপসমের। প্রতিষ্ঠানটির পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার বায়জীদ খুরশিদ রিয়াজ বিষয়টি লিখিতভাবে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানালেও তিনি রিজেন্টের এমন প্রতারণার বিষয়ে কোনো ব্যবস্থাই নেননি। ফলে করোনা পরীক্ষার নামে রিজেন্ট হাসপাতালের দুর্নীতি চলতে থাকে।দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ জানান,’ আমাদেরমূল ফোকাসটা হবে সরকারের সঙ্গে চুক্তি কিভাবে হলো, লাইসেন্স ছিল কি ছিল না।জনগণের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কিনা।’সূত্র জানায়, রেকর্ডপত্রে স্বাক্ষর থাকায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডাক্তার নাসিমা সুলতানা, হাসপাতাল ও ক্লিনিক বিভাগের পরিচালক ডাক্তার আমিনুল হাসান, একই বিভাগের উপ-পরিচালক ডাক্তার মোহাম্মদ ইউনূস আলী, সহকারী পরিচালক শফিউর রহমানসহ একডজন কর্মকর্তাকে কয়েক ধাপে জিজ্ঞাসাবাদ করবে দুদক।এছাড়া সাক্ষী হিসেবে বক্তব্য নেয়া হবে নিপসমের পরিচালক বায়জীদ খুরশীদ রিয়াজের।দুদকের অনুসন্ধান টিমের প্রধান আবু বকর সিদ্দিকের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে সংস্থাটির চেয়ারম্যান জানিয়েছেন, নথিপত্রে যাদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে তাদেরই দুদকের মুখোমুখি হতে হবে।আরও বলেন,’যাদেরই সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যাবে। যারা স্বাক্ষর করেছেন, যারা অনুমতি দিয়েছেন, যাকেই দরকার তাকেই জিজ্ঞাসাবাদ করবে।’