ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম (টিভি),ষ্টাফ রিপোর্টার,১৮ জুলাই : হদিস মিলছে না রিজেন্ট হাসপাতালকে দেয়া প্রায় অর্ধকোটি টাকা দামের দুটি সরকারি ডায়ালাইসিস ইউনিটের। করোনা চিকিৎসায় সরকারের দেয়া বিনামূল্যের যন্ত্রপাতি বাইরে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। তাছাড়া চুক্তিতে না থাকলেও কেন যন্ত্রপাতি দেয়া হলো? এমন প্রশ্ন তুলেছেন স্বাস্থ্যখাতের বিশেষজ্ঞরা।
ভাঙা ফটক, ছড়িয়ে আছে জিনিসপত্র। কদিন আগেই চিকিৎসাপ্রত্যাশীদের ভিড়ে সরব রিজেন্ট হাসপাতাল আজ ফাঁকা। আর ভেতরে প্রতারণার মহাযজ্ঞের চিহ্ন। বর্তমানে সিলগালা উত্তরা ও মিরপুরের দুটি শাখায় দু’একজন নিরাপত্তা কর্মী ছাড়া নেই কেউ।
সম্প্রতি সরকারি এক নথিতে দেখা যায়, রিজেন্ট হাসপাতালের সাথে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চুক্তিতে না থাকলেও সেখানে প্রায় দেড় কোটি টাকার যন্ত্রপাতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় ওষুধাগার। প্রায় অর্ধকোটি টাকার ২টি ডায়ালাইসিস মেশিন, একটি ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট, ২টি আইসিইউ ভেন্টিলেটর ও দুটি ডায়ালাইসিস বেড রয়েছে তার মধ্যে। হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণার পর যন্ত্রপাতিগুলো ফেরত চান তারা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠির অনুলিপি দেয়া হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরেও। প্রশ্ন উঠেছে, বেসরকারি হাসপাতালে সরকারি যন্ত্রপাতি দেয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. রিদওয়ানউর রহমান বলেন, একটি প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানের সুবিধায় সরকারি যন্ত্রপাতি ও সরকারি ডাক্তার নিয়ে চালাবে এটা তো হতে পারে না।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র আয়েশা আক্তার বলেন, এখান থেকে দেয়া হয়নি। তবে মন্ত্রণালয় থেকে দিলে সেটা তাদের বিষয়।
কিন্তু ৬ জুলাই র্যাবের অভিযানে মালামালের যে তালিকা করা হয়, সেখানে রিজেন্টের দুই হাসপাতালের কোনোটিতেই ডায়ালাইসিস ইউনিট খুঁজে পাওয়া যায় নি। ওই সময়ে প্রতারক শাহেদের করোনা আক্রান্ত বাবাকে ডায়ালাইসিস সুবিধা না থাকায় রাজধানীর অন্য একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সূত্র বলছে, সরকারের দেয়া ডায়ালিসিসের যন্ত্রপাতি বাইরে বিক্রি করে দিয়েছে শাহেদ।
এ বিষয়ে এখনই মুখ খুলতে রাজি নয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিংবা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেউ। তবে চলতি সপ্তাহে হাসপাতাল খুলে যন্ত্রপাতি ফিরিয়ে নেয়ার উদ্যোগ নেয়া হবে বলে জানা গেছে।