ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম এন্ড টিভি,বিনোদন প্রতিনিধি,১০ জুলাই : বলিউডের দর্শকপ্রিয় সিনেমাগুলোর একটি ‘কলিযুগ’। এই সিনেমায় মাধ্যমে বলিউডে পা রাখেন স্মাইলি সুরি। এতে অভিনেতা কুণাল খেমুর বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। সিনেমাটি পরিচালনা করেন তার ভাই মুহিত সুরি। এটি প্রযোজনা করেন মুকেশ ভাট ও মহেশ ভাট।
স্মাইলি সুরির বাবা দক্ষ সুরি ও মা হেনা সুরি। পারিবারিকভাবে ভাট পরিবারের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক রয়েছে। তার মা হেনা সুরি পরিচালক নানাভাই ভাটের মেয়ে। হেনা সুরির ভাই মুকেশ ও মহেশ ভাট। পূজা, শাহিদ, আলিয়া, রাহুল, বিশেষ ও সাক্ষী ভাট স্মাইলি ভাটের মামাতো ভাই-বোন। অভিনেতা ইমরান হাশমিও তার দূরসম্পর্কের আত্মীয়।
চলচ্চিত্র পরিবারে জন্ম হলেও প্রথম সিনেমায় সুযোগ পেতে অনেক কষ্ট করতে হয় স্মাইলি সুরিকে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “যদিও আমি ইন্ডাস্ট্রির মানুষ, কিন্তু প্রথম অভিনয়ের সুযোগ পেতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে। ‘জেহের’ ও ‘মার্ডার’ সিনেমায় আমি সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ করেছি। ‘জেহের’ সিনেমার শুটিংয়ের ফাঁকে একদিন মহেশ ভাট সাহেবকে বলি, আমি অভিনয় করতে চাই। কিন্তু তিনি জানান, যদি কোনো চরিত্রের জন্য উপযুক্ত না হই এবং ইন্ডাস্ট্রির নিয়ম কানুন না জানি তাহলে আমাকে সিনেমায় নিতে পারবেন না। তিনি এবং আমার ভাই আমাকে কঠোর পরিশ্রম করতে এবং অনেক কিছু শিখতে বলেন। তাই আমাকে অনেক সংগ্রাম ও অপেক্ষা করতে হয়েছে।’
প্রথম সিনেমা হিট হলেও স্মাইলি সুরির ক্যারিয়ার খুব বেশি দীর্ঘ হয়নি। তিনি বলেন, ‘কলিযুগ সিনেমা সাফল্যের পর আমি এর চেয়ে ভালো অথবা সমমানের সিনেমায় অভিনয় করতে চাইছিলাম। কিন্তু তেমন ভালো কিছু পাইনি। তাই নিজের ইচ্ছায় বিরতিতে থেকেছি তা নয়।’ পরবর্তী সময়ে আরো তিনটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন স্মাইলি সেগুলোও বক্স অফিসে সাড়া ফেলতে পারেনি।
ব্যক্তিগত জীবনে অভিনেতা সাহির শেখের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিলেন স্মাইলি সুরি। তবে পরবর্তী সময়ে তার নাচের মেন্টর বিনীত বাঙ্গেরাকে বিয়ে করেন। নাচের রিয়েলিটি শো ‘নাচ বালিয়ে সিজন ৭’-এ অংশ নিয়েছিলেন তারা। কিন্তু বিয়ের মাত্র দুই বছরের মাথায় তাদের বিচ্ছেদ হয়।
বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে স্মাইলি বলেন, ‘নাচের প্রতি ভালোবাসা থেকে আমাদের সম্পর্ক এবং এটাকে ভালোবাসা ভেবে আমরা ভুল করেছিলাম। বিয়ের পর আমরা বুঝতে পারি আমাদের সিদ্ধান্ত ভুল ছিল।’
একই সঙ্গে ব্যক্তিগত ও পেশাগত উভয় ক্ষেত্রেই খুব খারাপ সময় পার করতে থাকেন স্মাইলি। এর মধ্যে শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়। বিষণ্নতায় ভুগতে থাকেন। তখন পোল ড্যান্সিংয়ের বিষয়টি জানতে পারেন। এতে তিনি এতটাই উপকার পান যে, এটির প্রশিক্ষণ নেন এবং অন্যদের এটি শেখানোর পরিকল্পনা করেন।
স্মাইলি বলেন, ‘পোল ড্যান্সিং আমাকে কোনো ব্যাপারে প্রয়োজনীয় মনোযোগ দিতে সাহায্য করে। এটি মনকে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে স্থির রাখে। ট্রেনিং শেষে আমি যখন ক্লান্ত হয়ে পড়ি রাতে ভালো ঘুম হয়, তাছাড়া ঘুমানো আমার জন্য খুব কঠিন হয়ে পড়ে। পোল ড্যান্সিং শরীর ও মনের সাধনা। এটি বিষণ্নতা দূর করতে পারে।’
নিজের কঠিন সময় প্রসঙ্গে এই অভিনেত্রী বলেন, “সেরে উঠতে আমার অনেক সময় লেগেছে। ‘কলিযুগ’র মতো ব্যবসাসফল সিনেমার পরও আমি নতুন সিনেমা পাইনি। আমার পরিবারের সবাই সফল। কঠিন সময় পার করার জন্য আমার সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। জীবনের মূল উদ্দেশ্য বুঝতে আমার সময় লেগেছে।”
পোল ড্যান্সিংয়ের আগে প্রায়ই বিষণ্নতা, থাইরয়েড সমস্যায় ভুগতেন স্মাইলি। তবে এখন নিজে নিয়মিত পোল ড্যান্সিং করেন এবং অন্যদের এটি শেখান।