ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম এন্ড টিভি,বিনোদন প্রতিনিধি,০৯ জুলাই : ঢাকাই সিনেমার চিত্রনায়িকা ময়ূরী। যাকে বাংলা সিনেমার দর্শকরা অশ্লীল বলেই জানে। এই নায়িকার কোনো বডি ফিটনেস না থাকার কারণেও কীভাবে নায়িকা হলেন তা হয়তো সবারই অজানা। ১৯৯৮ সালে মালেক আফসারী পরিচালিত ‘মৃত্যুর মুখে’ সিনেমার মাধ্যমে ময়ূরীর ঢাকাই সিনেমায় আগমন ঘটে।
অশ্লীলতার সময়ে ঢালিউডে ঝড় তোলা চিত্রনায়িকা ময়ূরীকে বেশ কিছু অশ্লীল সিনেমায় দেখা গিয়েছে। পরে দেশিয় চলচ্চিত্র সুস্থ ধারায় ফিরলে অন্তরালে চলে যান এই নায়িকা। চলচ্চিত্রে আসার আগে তার নাম ছিল লিজা। লিজা থেকে কীভাবে ময়ূরী হলেন তা জানিয়েছেন নির্মাতা মালেক আফসারী।
মালেক আফসারী বলেন, ‘মৃত্যুর মুখে’ সিনেমার জন্য ইলিয়াস কাঞ্চন, মুনমুনকে চুক্তিবদ্ধ করাই। এর পরে কাঞ্চি নামে এক মেয়েকে এই সিনেমায় নেওয়ার কথা। সবকিছু ঠিকই ছিল। কাঞ্চির মায়ের সঙ্গে কথাও হয়। আমি ফ্রি মানুষ, তখন কাঞ্চির মাকে বলে আপনার মেয়েকে কত দেব সম্মানি। তখন তিনি বলেছিলেন যা দিবেন দিয়েন। আপনার ছবিতে আমার মেয়ে কাজ করবে। কিন্ত সাইনিং মানি দিতে গিয়ে তারা টাকা বেশি চেয়ে বসলো। তাকে আমরা দেড় লাখ টাকা দিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তারা দাবি করলো আড়াই লাখ। তখন আমি তাকে বাদ দেয়।’
‘শুটিংয়ের আছে মাত্র আর তিনদিন। কিন্তু কাকে নেব খুঁজে পাচ্ছিলাম না। ঠিক ওই সময়ে নৃত্য পরিচালক মাসুম বাবুল বলেন, লিজা নামে একটি মেয়ে আছে। চেহারাটা মিষ্টি। সঙ্গে সঙ্গে প্রযোজক গাড়ি আমার সহকারীকে পাঠিয়ে দিলেন আনতে। লিজা চলে আসলো। প্রযোজক বলে এত মোটা। আমি বললাম ওকেই নেব। লিজার মাকে বললাম, আপনার মেয়েকে ২৫ হাজার টাকা দেব। প্রযোজককে বলে দশ হাজার টাকা দিয়ে দিলাম।’
লিজা থেকে ময়ূরী নাম? এ বিষয়ে মালেক আফসারী বলেন, সেদিন সাইনিং করানোর সময় সাংবাদিক আওলাদ বলেন, ‘লিজা নামটা কেমন জানি লাগছে।’ তখন আমি বলি কি নাম দেওয়া যায় বলেন! তখন আওলাদ বলেন, ‘ওর নাম ময়ূরী দেন। আপনার নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে।’ এরপর থেকে সে ময়ূরী হয়ে সবার কাছে পরিচিত পায়। একটি নাচের শট দিয়েই ক্যামেরার সামনে দাঁড়ায় সে। এরপর ৩শ ছবিতে কাজ করেছে ময়ূরী।
নব্বই দশক থেকে এ পর্যন্ত ময়ূরী অভিনীত তিনশত সিনেমা মুক্তি পেয়েছে। মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমাগুলোতে তিনি যতটা প্রশংসিত হয়েছেন তার চেয়ে বেশি সমালোচিত হয়েছেন।