ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ষ্টাফ রিপোর্টার,০৬ জুলাই : দু’দিন আগে নিজের পিএ ও স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর ভাস্তি উম্মে সুলতানা নওশীনের প্রসংশায় পঞ্চমুখ ছিলেন। দু’দিনের মাথায় তারই বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, অর্থ-কেলেঙ্কারি, বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিসহ নানা অভিযোগ তুলে তার বদলি চেয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে চিঠি দিলেন রংপুর মেডিকেলের পরিচালক ডা. ফরিদুল ইসলাম। মিঠু ও নওশীনকে নিয়ে এতোদিন ভয়ে কেউ মুখ না খুললেও সময় সংবাদে দুটি প্রতিবেদন প্রচারের পর এখন অনেকেই মুখ খুলছেন। মিঠু ও নওশীনের নানা অন্যায়-অত্যাচারের বর্ণনা দিচ্ছেন।
স্বাস্থ্যখাতের আলোচিত ঠিকাদার মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু বিদেশে পালিয়ে থেকে নিজের বড় ভাইয়ের মেয়ে অভিযুক্ত নওশীনকে দিয়ে তার সিন্ডিকেট পরিচালনা করছেন- এমন প্রতিবেদন শনিবার (৪ জুলাই) সময় সংবাদে প্রচারের পর রোববার (৫ জুলাই) দুপুরে মুখ খোলেন পরিচালক, নিগৃহীত কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও।
রংপুর মেডিকেলের পরিচালক ডা. ফরিদ ইসলাম জানান, নওশীন মিঠুর আত্মীয় পরিচয় দিয়ে সব সময় কাজ করে থাকে।
ঠিকাদাররা অভিযোগ করেন বলেন, কীভাবে টেন্ডারবাজি করতেন মিঠু ও তার সিন্ডিকেট।
কর্মচারীরা অভিযোগ করে বলেন, নওশীন নিজেকে মিঠু সাহেবের ভাতিজি হিসেবে পরিচয় দিত। কোনো সমস্যা নিয়ে গেলে উনি কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন।
হাসপাতালের স্বাস্থ্য কমিটির সভাপতি ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা হুঁশিয়ার করে বলেছেন, কেউ বাহাদুরি করে পার পাবে না।
জাতীয় পার্টি’র মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, দুদক থেকে অলরেডি তার হিসাব চাওয়া হয়েছে। অন্যায় করে খুব বেশিদিন থাকা যায় না। যারা অন্যায় করছে তারাও থাকতে পারবে না।
মূলত অফিস সহকারী কাম মূদ্রাক্ষরিক হলেও চাচা মিঠুর প্রভাব খাটিয়ে নওশীন একাউন্টস সেকশন ও টেন্ডার কমিটির সদস্য হয়ে প্রভাব বিস্তার করতেন।