যে কারণে ‘ঝুলে আছে’ ঢাকার লকডাউন

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ষ্টাফ রিপোর্টার,২০ জুন : ঢাকায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে জোনভিত্তিক লকডাউন কবে শুরু হচ্ছে, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সুনির্দিষ্ট মানচিত্র না দেওয়ায় ‘লকডাউন ঝুলে আছে’ ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি)। তবে, জোন-ভিত্তিক মানচিত্র সিটি করপোরেশনের কাছে দিতে বিলম্ব হচ্ছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তার জবাব পাওয়া যায়নি।

এরআগে  রেড, ইয়েলো ও গ্রিন জোনে চিহ্নিত করে করোনা প্রতিরোধে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটি ঢাকার ৪৫ এলাকাকে রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করে লকডাউনের সুপারিশ করেছিল। এর মধ্যে ঢাকা ডিএসিসির ২৮ এবং ডিএনসিসির ১৭ এলাকা রয়েছে।

লকডাউনের জন্য রেড জোন হিসেবে তালিকায় থাকা ডিএনসিসির এলাকাগুলোর মধ্যে রয়েছে—গুলশান, বাড্ডা, ক্যান্টনমেন্ট, মহাখালী, তেজগাঁও, রামপুরা, আফতাবনগর, মগবাজার, এয়ারপোর্ট, বনশ্রী, রাজাবাজার, মোহাম্মদপুর, কল্যাণপুর, গুলশান, উত্তরা, মিরপুর। এগুলোকে রেড জোন হিসেবে ঘোষণার সুপারিশ করেছে টেকনিক্যাল কমিটি

ডিএসসিসিতে রেড জোনের জন্য সুপারিশ করা এলাকার মধ্যে রয়েছে—যাত্রাবাড়ী, ডেমরা, মুগদা, গেন্ডারিয়া, ধানমন্ডি, জিগাতলা, লালবাগ, আজিমপুর, বাসাবো, শান্তিনগর, পল্টন, কলাবাগান, রমনা, সূত্রাপুর, মালিবাগ, কোতোয়ালি, টিকাটুলি, মিটফোর্ড, শাহজাহানপুর, মতিঝিল, ওয়ারী, খিলগাঁও, পরীবাগ, কদমতলী, সিদ্ধেশ্বরী, লক্ষ্মীবাজার, এলিফ্যান্ট রোড ও সেগুনবাগিচা।

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন সূত্র জানিয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে জোনভিত্তিক ম্যাপ দেওয়া ও চিঠিতে কর্মকর্তার নাম স্বাক্ষর না থাকায় দুই সিটির মধ্যে জটিলতা তৈরি হয়েছে। এক্ষেত্রে যত দ্রুত মানচিত্র পাওয়া যাবে, তত দ্রুত লকডাউনে যাওয়া যাবে।

জানতে চাইলে ডিএসসিসির একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘নির্দিষ্ট কোনো বাড়ি বা গলি লকডাউন করার বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে যে এলাকা লকডাউন করা হবে, ওই এলাকার সব কর্মকাণ্ড স্থবির হয়ে পড়বে। সামগ্রিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হতে পারে, এমন কোনো সিদ্ধান্তে কেউই যেতে চাই না।’

শনিবার (২০ জুন) দুপুরে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান মামুন ও ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী শাহ মো. এমদাদুল হক বলেন, ‘এলাকাভিত্তিক লকডাউন বাস্তবায়নে আমরা প্রস্তুত। তবে এখনো ম্যাপ পাইনি। পেলেই কাজ শুরু করে দেবো।’

এ বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, ‘মানচিত্র তৈরি হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।’ তবে, এ বিষয়ে এখন কথা বলা যাবে না বলেও তিনি জানান।