ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,বিনোদন প্রতিনিধি,০৯ জুন : অভিনেত্রী মাহিমা চৌধুরী। ১৯৯৭ সালে মুক্তি পাওয়া সুভাষ ঘাইয়ের ‘পরদেশ’ সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে তার অভিষেক ঘটে। এতে শাহরুখ খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি। এরপর ‘দাগ: দ্য ফায়ার’, ‘পেয়া কই খেল নেহি’, ‘দিওয়ানে’, ‘কুরুক্ষেত্র’সহ অনেক সিনেমায় অভিনয় করেছেন।
কিন্তু একটি বড় দুর্ঘটনার কারণে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন মাহিমা। এটি তার অভিনয় ক্যারিয়ারেও প্রভাব ফেলে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
মাহিমা চৌধুরী বলেন, “ওই সময় অজয় ও কাজলের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ‘দিল ক্যায়া কারে’ সিনেমার শুটিং করছিলাম। এটির পরিচালনায় ছিলেন প্রকাশ ঝা। বেঙ্গালুরুতে স্টুডিওতে যাওয়ার পথে বড় দুর্ঘটনার শিকার হই। একটি ট্রাক আমার গাড়িতে ধাক্কা দেয়, গাড়ির কাচগুলোর বেশিরভাগই আমার মুখমন্ডলে ঢুকে যায়।”
তিনি আরো বলেন, ‘মনে হচ্ছিল মারা যাব। ওই সময় কেউ আমাকে সাহায্যও করছিল না। পরবর্তী সময়ে হাসপাতালে পৌঁছানোর অনেক পর মা ও অজয় আসে এবং তারা আমাকে নিয়ে আলোচনা করতে থাকে। আমি আয়নায় যখন আমার চেহারা দেখি খুবই বিভত্স অবস্থা ছিল। অস্ত্রোপচার করার পর আমার মুখমন্ডল থেকে ৬৭টি কাচের টুকরো বের করেছিল। কথাগুলো যখন বলি আমার কান্না পায়। আমার মুখমন্ডলে সেলাই, স্ট্যাপল করা ছিল এবং ঘরের মধ্যে থাকতে হয়েছে। আমার ঘর সবসময় অন্ধকার থাকত। নিজেকে দেখতাম না। সূর্যের আলোতে বের হওয়া বাড়ন ছিল। অতিবেগুনি রশ্মি রয়েছে এমন আলোতে যাওয়া নিষেধ ছিল। ’
মাহিমা বলেন, “ওই সময় আমার বেশ কয়েকটি সিনেমার কাজ ছিল। কিন্তু সবগুলোই ছেড়ে দিতে হয়েছে। আমি চাইনি এই ঘটনা কেউ জানুক। সেই সময় সবাই খুব বেশি বন্ধুসুলভ ছিল না। যদি এই বিষয় নিয়ে কারো সঙ্গে আলোচনা করে বলতাম, আমি নিজেই এমন করেছি। তখন বলত, ‘এর তো চেহারা খারাপ হয়ে গেছে।”