ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,৩০ মে : সরকারের পক্ষ থেকে ৩১ মে থেকে গাড়ি চালানোর অনুমতি দিলেও মালিক পক্ষ চান আগামী ১ জুন থেকে গাড়ি চালাতে।
করোনার কারণে টানা বন্ধ থাকায় গণপরিবহন মালিকরা চাচ্ছেন সারা দেশে সব কয়টি রুটে বাস চলাতে।
এ বিষয়ে বৃহস্পতিবার সরকারের পক্ষ থেকে ১২টি শর্ত দেওয়া হয়েছে। সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ বলেছে, বাসের অর্ধেক আসন খালি রাখতে হবে। আর ব্যবসায়ীরা বলেছেন বাসের অর্ধেক সিট খালি রাখলে ভাড়া বাড়াতে হবে। আজ এসব বিষয়ে বিআরটিএর স্থায়ী ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি বৈঠকে বসে ভাড়ার বিষয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেবে।
কোন রুটে কতগুলো বাস চলাচল করবে এমন প্রশ্নে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ও এনা পরিবহনের মালিক খন্দকার এনায়েত উল্লাহ ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কমকে বলেন, ‘আমাদের দেশের তুলনায় জনসংখ্যা অনেক বেশি সেটা আমারা সবাই জানি। আর কাজের জন্য দেশের বিভিন্ন স্থানের মানুষ রাজধানীতে বসবাস করে। তাই মানুষের চাহিদার থেকে পরিবহন কিছুটা কম। আমরা চাই, যতগুলো পরিবহন রয়েছে সবগুলোই যেন চলাচল করতে পারে এবং সব কয়টা রুটে। কারণ এমনিতেই সীমিত আকারে যাত্রী পরিবহন করলে এক বাসের জায়গায় দুই বাস লাগবে। তাই চাহিদার তুলনায় বাসের সংখ্যা কমে যাবে। সেক্ষেত্রে সবগুলো বাস যাতে চলাচল করতে পারে সে বিষয়ে আমরা প্রস্তাব করেছি।’
খন্দকার এনায়েত উল্লাহ আরও বলেন, ‘পরিবহন মালিকরা ও সংগঠনের নেতারা গতকাল বিআরটিএ এবং সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছি। আমারা পরিবহন চলাচলের বিষয়ে প্রস্তাব করেছি। শনিবার সকালে ভাড়া নির্বাধরণের জন্য বিআরটিএ একটি কমিটি রয়েছে তাদের সঙ্গে বৈঠক করে এই বিষয়ে চূড়ান্ত করা হবে।’
স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা উপকরণ থাকবে কি না এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী আমরা স্বাস্থ্যবিধি মেনেই বাস চালাবো। আমি আমার বাসের স্টাফদের ইতোমধ্যে নির্দেশনা দিয়েছি তারা যেন মাস্ক, হ্যান্ড গ্লাভস ও স্যানিটাইজারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনেন। যাত্রীরা যখন বাসে উঠবে তখন তারা মাস্ক পরেছে কি না সেটা নিশ্চিত করে গাড়িতে ওঠাতে। ’
বাস চলাচলের সময়ের বিষয়ে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলি ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কমকে বলেন, ‘কতসময় আর কতগুলো গাড়ি চলাচল করতে পারবে এসব বিষয়ে আজ সিদ্ধান্ত হবে। আমরা প্রস্তাব করেছি, সব গাড়ি যেন চলাচল করতে পারে। তা না হলে কিছু সংখ্যক গাড়ি চলাচল করলে লাখ লাখ পরিবহন শ্রমিকদের বেকার বসে থাকতে হবে। তাদের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হতে পারে। আর সড়কেও গাড়ি সংকট থাকবে।’
এ বিষয়ে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ নতুন ভাড়া ও অন্যান্য বিষয়ে একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’