করোনা প্রতিরোধে ব্লিচিং পাউডার যেভাবে ব্যবহার করবেন

SHARE

করোনাভাইরাসের এই সময়ে ব্লিচিং পাউডারের ব্যবহারও বেড়ে গেছে। বাসা বাড়িতে বা অফিসে অনেকেই ব্লিচিং পাউডার পানির সাথে মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করে করোনা সহ অন্য সব জীবাণু দূর করতে ব্যবহার করছেন।

ব্লিচিং পাউডারে যে উপাদান থাকে তার নাম সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট। এই উপাদানটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সহ বিভিন্ন জীবাণু ধ্বংস করতে সক্ষম। ঘরের ফ্লোর বা বাথরুমের ফ্লোর ব্লিচিং পাউডার দ্রবণ দিয়ে পরিষ্কার করলে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সংক্রমণ দূর হয়। ইনফ্লুয়েঞ্জার জীবাণু ২৪ থেকে ৪৮ ঘণ্টা ঘরের ফ্লোর বা বাথরুমে থাকতে পারে। করোনাভাইরাস ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত টিকে থাকতে পারে। ব্লিচিং পাউডার এসব ভাইরাসকে সহজে দূর করতে পারে।

আমেরিকার এনভাইরনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সি জানিয়েছে, সোডিয়াম হাইপোক্লোরাইট কোভিড-১৯ রোগের জন্য দায়ী ভাইরাস সার্স-কোভ-২ ভাইরাসকে প্রতিরোধ করতে পারে। তবে ফ্লোর বা বাথরুমে ব্লিচিং পাউডার দ্রবণ দেয়ার পর তা যেন ১০ মিনিট বা তার চেয়ে বেশি সময় বাতাসে শুকায়, তা নিশ্চিত হতে বলেছে এজেন্সিটি।

ব্লিচিং পাউডার যেভাবে ব্যবহার করবেন: মনে রাখতে হবে পানির সাথে ব্লিচিং পাউডারের দ্রবণ তৈরি করে তা কাঠের ফ্লোর বা পেইন্ট করা ফ্লোরে ব্যবহার করা ঠিক না।

আমেরিকান প্রতিষ্ঠান সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল (সিডিসি) ব্লিচিং পাউডার দ্রবণের ক্ষেত্রে ১ কাপ ব্লিচিং পাউডার নিয়ে ৫ গ্যালন (১ গ্যাালন = ৪.৫ লিটার) পানির সাথে মেশাতে সুপারিশ করেছে। অল্প পরিমাণে ব্যবহারের ক্ষেত্রে কোয়ার্টার গ্যালন পানিতে চার চা-চামচ ব্লিচিং পাউডার মিশিয়ে ব্যবহার করতে সুপারিশ করেছে সিডিসি।

ব্লিচিং পাউডার যখন ক্ষতির কারণ:

* কারো মুখে ব্লিচিং পাউডার গেলে তা তীব্র বিষক্রিয়া ঘটাতে পারে। তাই মুখে যেন না যায় ও শিশুদের নাগালের বাইরে যেন থাকে, তা নিশ্চিত করতে হবে।

* অ্যামোনিয়ার সাথে ব্লিচিং পাউডার মিশে ক্লোরিন গ্যাস তৈরি করে, যা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর হয়ে উঠতে পারে।

* ব্লিচিং পাউডার মানুষের ত্বকের সংস্পর্শে এলে ত্বকে চুলকানি হতে পারে। তাই হাতে বা গায়ে ব্লিচিং পাউডার লাগলে সাবান পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলা উচিত।