ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,এমরান হোসেন আকাশ মেঘনা থেকে,২৪ মে : মৃত্যেু কি টাকা দিয়ে ঠেকানো গেলো। কি নাই তাদের, টাকা পয়সা, ক্ষমতা, নাম সুনাম, ইচ্ছে করলে এরকম আইসিইইউ হাসপাতাল ঘরে তুলতে পারতেন মুহুর্তেই, কিন্তু এই অর্থ বিত্ত কি কাজে লাগলো। জি তাদের কথাই বলছি।
এস আলম গ্রুপ !! দেশের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে অন্যতম। তাদের দখলে রয়েছে ৮টি ব্যাংক, ৩টি ব্যাংক বর্হিভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং দুটি বীমা কোম্পানি ২ টি বেসরকারী টেলিভিশন সহ মোট ৩৪টি বড় বড় কোম্পানি। শুধু বাংলাদেশে নয়, সিঙ্গাপুর ও কানাডার ধনীদের তালিকায়ও স্থান পেয়েছে গ্রুপটি। গ্রুপের ৫ ভাইসহ মোট ৬জন করোনায় আক্রান্ত। এরমধ্যে দুই ভাইয়ের অবস্থা সংকটাপন্ন। কিন্তু তাদের জন্য হাসপাতালে দেয়া হয়েছে একটাই আইসিইউ বেড। একবারে একজনকেই সেবা দিতে পারবে এই যন্ত্র। অথচ দুজনই মরণাপন্ন। অন্তিম সময়ে ছোট ভাইয়ের মুখ থেকে খুলে নিয়ে বড় ভাইকে দেয়া হল ভেন্টিলেশন সাপোর্ট। কিন্তু ততক্ষণে তার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা পুরোপুরি হারিয়ে মারা গেলেন বড় ভাই মোরশেদুল আলম। তড়িঘড়ি করে যন্ত্রটি আবার দেয়া হলো ছোট ভাইয়ের মুখে। মৃত্যুর সঙ্গে এখনও লড়ছেন তিনি।তাদের মত দুয়েকজন উদ্যোক্তা চাইলেই দেশের পুরো স্বাস্থ্যব্যবস্থাকে পাল্টে দিতে পারতেন। কিন্তু তারা কি জানতেন যে এমন দিন আসবে, যখন কাড়ি কাড়ি টাকা ঢাললেও সিঙ্গাপুর-থাইল্যান্ডের দরজা খুলবে না! মহামারীর বিশ্বায়ন হবে, আর জাতিরাষ্ট্রগুলো নিজ নিজ বাউন্ডারির মধ্যে খিল এঁটে বসে থাকবে! কোনো কারেন্সি দিয়েই এই দরজা আর খোলা যাবে না! করোনা-উত্তর বাংলাদেশে যেসব উদ্যোক্তা বেঁচে থাকবেন, তাদের মনে কি থাকবে এই ঘটনা? শুধু এস আলম গ্রুপই নয়, এমন অনেক শিল্প গ্রুপের মালিক আজ আগাম বুকিং মানি দিয়েও হাসপাতালের আইসিউ ব্যবস্থা করতে পারছেন না!! আর সরকার বাহাদুরের মন্ত্রী এমপিরা তো আরো দূরে!! আমলা ও আমাদের মতো কামলারাও আজ একই কাতারে। হায় করোনা…তুমি কি আমাদের কিছু শিক্ষা দিয়ে যেতে পারছো!