ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,১৭ মে : মহামারি করোনাভাইরাসের জীবাণু ধ্বংস করতে বিশ্বের অনেক দেশেই দেখা যাচ্ছে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে। কেউ কেউ বিভিন্ন রাসায়নিকের মিশ্রণ তৈরি করে ধোঁয়াও দিচ্ছে। সেটা যেমন রাস্তা-ঘাটে করা হচ্ছে, তেমনি বিপণিবিতানেও করা হচ্ছে। শনিবার (১৬ মে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) এই ধরনের জীবাণুনাশক না ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছে।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক এই বিশেষ সংস্থার মতে জীবাণুনাশক ছিটানোয় উপকারের চেয়ে ক্ষতি বেশি। কারণ, এটা নতুন করোনাভাইরাসের জীবাণু ধ্বংস করতে পারে না। পারে না আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশি থেকে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে। উল্টো স্প্রেতে নানা রাসায়নিকের ব্যবহার মানুষের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। খবর আল জাজিরা ও এএফপি’র।
এক বিবৃতিতে হু জানিয়েছে, উপরন্তু জীবাণুনাশক ছিটানোর কারণে চোখের সমস্যা, শ্বাষযন্ত্র কিংবা ত্বকের সমস্যাসহ নানারকম স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হতে পারে। নির্দিষ্ট কিছু রাসায়নিক- বিশেষ করে ফর্মালডিহাইড, ক্লোরিন ভিত্তিক মিশ্রণ, ব্লিচিং, অ্যামোনিয়ামের মিশ্রণ মানুষের শরীরে বিরূপ স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করায় এগুলো কখনোই ছিটানোর ক্ষেত্রে পরামর্শ দেওয়া হয় না। এটা যিনি ছিটানোর কাজ করেন তার শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্ষতির বিষয়। জীবাণুনাশক ছিটানোর মাধ্যমে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি কমানো যায় না।’
‘কিছু কিছু দেশের সরকার রাস্তা-ঘাট, অফিস-আদালত ও বিপণিবিতানে জীবাণুনাশক ছিটাচ্ছে। কেউ কেউ এগুলো দিয়ে রাস্তা ধুচ্ছে। এটা আসলে বৃথা চেষ্টা। কারণ- বাহিরে, রাস্তায় কিংবা বিপণিবিতানে জীবাণুনাশক কিংবা ধোঁয়া দিয়ে করোনাভাইরাসের জীবাণু কিংবা প্যাথোজেন মারা যায় না। এটা করতে আমরা কখনোই পরামর্শ দিই না। কারণ, রাস্তা-ঘাটের ময়লা ও বর্জ্যের কারণে জীবাণুনাশক নিষ্ক্রিয় হয়ে যায়। জীবাণুনাশক যদি প্রয়োগ করতেই হয় তাহলে কাপড় কিংবা ন্যাপকিন ভিজিয়ে সেটা দিয়ে মুছে করা যেতে পারে।’