এদিকে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী বলছেন, কারো আগে থেকেই শারীরিক জটিলতা থাকলে, তা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অবহিত করলে বিশেষ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অদৃশ্য এক ভাইরাসের তাণ্ডবে পৃথিবী আজ দিশেহারা। ক্রমেই যেন এক অদ্ভুত আঁধার গ্রাস করতে চাইছে প্রিয় মাতৃভূমিকেও।
করোনা ঠেকাতে, প্রান্তিক মানুষের সেবা নিশ্চিত করার জন্য, মাঠ প্রশাসনে কাজ করছেন প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা। ত্রাণ বিতরণ, সংক্রমণের প্রাদুর্ভাবে ঝুঁকিতে থাকা বিশেষ এলাকায় কোয়ারেন্টিন বাস্তবায়নসহ, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিতে সম্মুখভাগের যোদ্ধা প্রশাসনিক কর্মকর্তারাও ভাইরাসে আক্রান্ত। এরই মধ্যে করোনায় পৃথিবী ছেড়েছেন, দুদক কর্মকর্তা জালাল সাইফুর রহমান।
নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, গাজীপুর, কিশোরগঞ্জসহ বেশকিছু জায়গায় মাঠ প্রশাসনে কাজ করা ১৩ কর্মকর্তা এখন পর্যন্ত সংক্রমিত হয়েছেন; যারা কোয়ারেন্টিন এবং আইসোলেশনে আছেন। তারা বলছেন, মাঠের দায়িত্বে যথেষ্ট সতর্ক থাকলেও, সংক্রমণ এড়ানো সম্ভব হয়নি।
কিশোরগঞ্জ, ভৈরব, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিমাদ্রী খীসা বলেন, ‘করোনা সন্দেহের এক মৃত ব্যক্তির দাফন কাজে নিয়োজিত ছিলাম। করোনা মোকাবেলায় সরকারি দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে অনেক জনগণের সংস্পর্শে আসতে হয়েছে। সেই থেকে আমার মনে হচ্ছে, আমি করোনায় আক্রান্ত।
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ফারজানা আক্তার বলেন, ‘যেসব এলাকায় কোভিড-১৯ পজিটিভ পাই, ওখানে আপনারা জানেন যে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও স্বাস্থ্যকর্মী উপস্থিত থাকেন। তাদের উপস্থিতির ওপর ওই এলাকা লকডাউন করতে হয়। আটদিন যাবত আমি আইসোলেশনে আছি। যেহেতু আমার কিছু সিম্পটম ছিল, জ্বর এসেছিল।’
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘মাঠ পর্যায়ে যারা কাজ করেন তাদের যদি পূর্বের কোনো সমস্যা থাকে তাহলে অবশ্যই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে জানাবেন। তাহলে অবশ্যই তারা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।’
মনোবল ধরে রেখে এই দুর্যোগ সামাল দেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী কর্মকর্তাদেরকে; মাস্ক, গ্লাভসের মতো সুরক্ষা সরঞ্জাম ব্যবহারের আহ্বান জানান।