সিঁধ কাটার সময় আ.লীগ নেতাকে গণধোলাই

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,টাঙ্গাইল প্রতিনিধি,১৮ এপ্রিল : টাঙ্গাইলের নাগরপুরে শিধ কেটে চুরি করতে গিয়ে স্থানীয়দের হাতে গণধোলাইয়ের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগের এক নেতা। পরে তাকে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

শুক্ররার (১৭ এপ্রিল) দিবাগত রাতে উপজেলার সহবতপুর ইউনিয়নের নন্দ পাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নাগরপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নূর মোহাম্মদ।

গণধোলাইয়ের শিকার মো. শাহীন খান (৪২) ওই ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের বর্তমান কমিটির সভাপতি। তিনি ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য ছিলেন।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে এসআই নূর মোহাম্মদ জানান, শাহীন অনেক আগে থেকেই চুরি করতেন। এলাকায় তিনি একজন দাগী চোর হিসেবে পরিচিত। এর আগে একাধিক বার চুরি করতে গিয়ে হাতেনাতে ধরাও পড়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক চুরির অভিযোগও রয়েছে। এলাকাবাসী তার উৎপাত থেকে রেহাই পেতে ভোট দিয়ে তাকে ইউপি সদস্য নির্বাচিত করে। মেম্বার হওয়ার পর কিছুদিন ভালো চললেও পদ সাবেক হয়ে যাওয়ার পর আবার তার উপদ্রব বেড়ে যায়।

গতকাল গভীর রাতে তিনি একই গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. হাশেম মিয়ার বাড়িতে শিধ কেটে চুরি করতে যান। এসময় ধরা পড়লে স্থানীয়রা তাকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।

মুক্তিযোদ্ধা হাশেম মিয়ার ছেলে ওসমান গনি বলেন, ‘আমি শুক্রবার দিবাগত রাতে বাড়ির পাশের জমিতে ইরি স্কিম থেকে জমিতে পানি দিয়ে বাড়িতে এসে টর্চের আলো জ্বালালে চোর শাহীনকে দৌড় দিতে দেখি। এসময় আমি ও আমার পরিবারের চিৎকারে এলাকাবাসী এগিয়ে এসে তাকে ধরে ফেলে। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে গ্রামবাসী শাহীনকে পিটিয়ে গাছের সঙ্গে বেঁধে পুলিশকে খবর দেয়।’

এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান তোফায়েল হোসেন মোল্লা বলেন, ‘ঘটনাটা আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে স্থানীয় ইউপি সদস্য তোফাজ্জল হোসেন গিয়ে তাকে উদ্ধার করে পুলিশে সোপর্দ করেন।’

সহবতপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নূরু সরকার বলেন, ‘গতকাল রাতেই স্থানীয় মেম্বার তোফাজ্জল হোসেন আমাকে মোবাইলে বিষয়টি জানিয়েছেন। আজ সকালেই আমি উপজেলা নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। স্থানীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে বিষয়টি তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

উপ-পরিদর্শক নূর মোহাম্মদ জানান, খবর পেয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাটিয়েছে। সেখানে পুলিশি পাহাড়ায় তাকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।