নাটোর পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, ভাইরাল হওয়া ছবি ওই কৃষকের নয় বলে তিনি আমাদের জানিয়েছেন। আমরা এই ব্যাপারটা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি।
গত ১০ এপ্রিল আঙ্গারিপাড়া এলাকার কৃষক শহিদুল ৩৩৩ কল করে গ্রামবাসীর জন্য খাদ্য সহায়তা চান। লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন। এরপর গত ১২ এপ্রিল চেয়ারম্যান ওই কৃষককে ডেকে নিয়ে মারধর করেন।
বুধবার দুপুরে লালপুর থানায় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার, ইউপি সদস্য রেজা ও গ্রাম পুলিশ রুবেলকে অভিযুক্ত করে মামলা করেন শহিদুল। এদিকে স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন গত সোমবার অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে কারণ দর্শাতে বলে।
লালপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মুল বানীন দ্যুতি বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ ও স্থানীয় সরকার মোতাবেক যে আইন আছে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নাটোর-০১ সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল বলেন, তিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত একটি চেয়ারে থেকে অসহায় একটি মানুষকে কীভাবে আঘাত করতে পারেন। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ জানাই। সঙ্গে লালপুর আওয়ামী লীগকে তার বিরুদ্ধে দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।
এদিকে শহিদুলের ভুয়া ছবিটি নিয়ে কে বা কারা গুজব ছড়ানোর চেষ্টা করছে তা খতিয়ে দেখছে প্রশাসন।