ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,১৫ এপ্রিল : সৌদি আরবের হারামাইন প্রেসিডেন্সির প্রধান প্রফেসর ড. শায়েখ আবদুর রহমান বিন আব্দুল আজিজ আস সুদাইস মহামারী করোনায় আক্রান্তদের জন্য জমজমের পানি সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছেন। সামাজিক ও জাতীয় দায়িত্ববোধ থেকে তিনি এ পরামর্শ দেন। খবর আল খালিজ টুডের।
বলা হয়েছে, শায়েখ সুদাইসের ঘোষণার পর থেকে সৌদি আরবের বিভিন্ন হাসপাতালে করোনায় আক্রান্ত রোগীদেরকে জমজমের পানি সরবরাহ করা শুরু হয়েছে। এছাড়া মক্কা ও মদিনা অধিদপ্তরও তাদের নিজস্ব তত্ত্বাবধানে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের জন্য জমজমের পানি বিতরণ করছেন।
সম্প্রতি মদিনা সফরকালে সেখানে কর্তব্যরত নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝে জমজমের পানি বিতরণ করেন হারামাইনের প্রেসিডেন্ট শায়েখ আবদুর রহমান আস সুদাইস।
উল্লেখ্য, জমজম মক্কার মসজিদুল হারামের কাছে অবস্থিত একটি প্রসিদ্ধ কূপ। পবিত্র কাবা ও এই কূপের মধ্যে দূরত্ব মাত্র ৩৮ গজের। হজ ও উমরা আদায়কারীর জন্য বিশেষভাবে এবং পৃথিবীর সব মুসলমানের জন্য সাধারণভাবে জমজমের পানি পান করা মুস্তাহাব।
সহিহ হাদিসে ইরশাদ হয়েছে, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে জমজম থেকে পানি পান করেছেন। সাহাবি হযরত আবু জর (রা.) বর্ণনা করেন, নবী করিম (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি বরকতময়, স্বাদ অন্বেষণকারীর খাদ্য।’ কোনো কোনো হাদিসে জমজমের পানিকে ‘রোগীর ওষুধ’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
হযরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজের সঙ্গে পাত্রে ও মশকে করে জমজমের পানি বহন করতেন। তা অসুস্থদের ওপর ছিটিয়ে দিতেন এবং তাদের পান করাতেন। সুনানে তিরমিজির এ বর্ণনা থেকে এ কথাও জানা যায় যে, জমজমের পানি বহন করা জায়েজ। আর যারা জমজম কূপের কাছে নয়, তাদের পান করানো নবীর সুন্নত।
জমজমের পানি পান করার সময় একটি বড় কাজ হলো- দোয়া করা। হযরত জাবির (রা.) বর্ণনা করেন, হযরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘জমজমের পানি যে উদ্দেশ্য নিয়ে পান করবে তা পূরণ হবে।’ বিখ্যাত বুজুর্গ ও মনীষীরা জমজমের পানি পানের সময় বিভিন্ন দোয়া করতেন।