ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৪ এপ্রিল : বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে বাংলাদেশে। এসব রোগীদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসক, নার্সসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিবার পরিজন নিয়ে তারাই ছোঁয়াচে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার সবচেয়ে বেশি ঝুঁকির মধ্যে রয়েছেন। তাই তাদের থাকা ও কোয়োরেন্টাইনের অভিজাত হোটেলের ব্যবস্থা করছে সরকার।রাজধানীর পাঁচটি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসায় জড়িত স্বাস্থ্যকর্মীদের অবস্থান/কোয়ারেন্টাইনের জন্য পাঁচতারকা হোটেলসহ ১৯টি আবাসিক হোটেলের ৫৮০টি কক্ষ বরাদ্দে চুক্তির জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
গত ১২ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. মো. আমিনুল হাসান স্বাক্ষরিত স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিবকে কক্ষ বরাদ্দে চুক্তির জন্য ‘করোনা আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্য সেবাদানকারী সদস্যদের কোয়ারেন্টাইনে/অবস্থানের নিমিত্তে প্রস্তাবিত হোটেলসমূহের তালিকা চুক্তি করা বিষয়ক’ শীর্ষক চিঠিটি লেখা হয়।চিঠিতে বলা হয়, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে জন্য উত্তরার ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে ২১০, মহাখালীর শেখ রাসেল জাতীয় গ্যাস্ট্রোলিভার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জন্য আটটি হোটেলে (হোটেল অবকাশ, হোটেল জাকারিয়া, হোটেল রেনেসাঁ, ঢাকা রিজেন্সি, হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট রেডিসন ব্লু ওয়াটার গার্ডেন, হোটেল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও, হোটেল অ্যান্ড রিসোর্ট ওলা মেরিডিয়ান) ১১০-১২০, লালকুঠি বাজারের মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্য প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানের জন্য তিনটি হোটেলে (গ্রান্ড প্রিন্স হোটেল, শ্যামলী ও হোটেল ড্রিমল্যান্ড) ৭০-৮০, বাবুবাজারের মহানগর জেনারেল হাসপাতালের জন্য তিনটি হোটেলে (রাজমণি ঈশা খাঁ, ফারস হোটেল, হোটেল ৭১) ৮০-১০০ ও কমলাপুর রেলওয়ে জেনারেল হাসপাতালের জন্য তিনটি হোটেলে (হোটেল সাগরিকা, হোটেল গ্র্যান্ড সার্কেল ইন ও হোটেল শালিমার) ৬০-৭০টি কক্ষ প্রয়োজন।