ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ফরিদপুর প্রতিনিধি,০৯ এপ্রিল : ফরিদপুরের সদরপুরে সরকারি খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল কালোবাজারি করে অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রির অভিযোগে ইউনিয়নের ডিলার ও সাবেক ইউপি সদস্যকে আটক করে কারাদণ্ড দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (০৮ এপ্রিল) চরনাছিরপুর ইউনিয়নের হতদরিদ্র কার্ডধারীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত অর্থ নিয়ে ইউনিয়নের ডিলার মো. করিম মোল্যা চাল বিক্রি করে। অভিযোগ পেয়ে উপজেলার চরনাছিরপুর ইউনিয়নের প্রত্যন্ত দুর্গম চরাঞ্চলের শিমুলতুলী বাজারে গিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার।
খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির চাল অতিরিক্ত দামে হতদরিদ্রদের কাছে বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ইউনিয়নের ডিলার মো. করিম মোল্যাকে আটক করা হয়। ভুক্তভোগীদের সাক্ষী ও অভিযোগের সত্যতা পায় ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযুক্ত ডিলার করিম মোল্যাকে আটক করে এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪০ ধারায় এ কারাদণ্ড দেন আদালতের বিচারক পূরবী গোলদার।
জানা গেছে, হতদরিদ্র মানুষের জন্য বরাদ্দ খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ২৭৮ বস্তা চালের মধ্যে ১৭৮ বস্তা চাল অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রি করে। বুধবার সকালে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচির জন কার্ডধারীদের কাছ থেকে ৩০ কেজি চালের তিনশত টাকার জায়গায় ৩২০ টাকা করে নেওয়ায় হতদরিদ্ররা উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মুঠোফোনে জানায়।
একাধিক অভিযোগ পেয়ে প্রত্যন্ত দুর্গম অঞ্চলে ছুটে যান ইউএনও। ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় এবং তিনি নিজের অপরাধ স্বীকার করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে দণ্ড দেন। আদালত শেষে ফরিদপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত হলেন- ওই ইউনিয়নের মৃত মঙ্গল মোল্যার ছেলে ও সাবেক ইউপি সদস্য মো. করিম মোল্যা।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পূরবী গোলদার বলেন, করোনা ভাইরাসে হতদরিদ্রদের জন্য ওএমএস ১০টাকা কেজি চাল বিক্রি হচ্ছে। আমাদের প্রতিটি ইউনিয়নে এ কার্যক্রম চলমান আছে। ওই ইউনিয়ন থেকে হতদরিদ্রদের কাছে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার বিষয়টি হতদরিদ্ররা আমাকে মুঠোফোনে জানান। ঘটনাস্থলে গিয়ে সত্যতা পেয়ে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।