ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,শিবগঞ্জ (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধি,২৮ মার্চ : চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ থানায় কর্মরত এসআই তৌহিদুল ইসলাম প্রায় ৬ বছর আগে বিয়ে করেন একই উপজেলার আপন খালাতো বোন শাহনাজ পারভিনকে। বিয়ের কিছুদিন পর হতে সংসারে তৈরি হয় কলহ। এনিয়ে মারধর করে পা ভেঙে দেন স্ত্রীর। এসআই তৌহিদুল ইসলাম বাগমারা উপজেলার মৃত সাহেব আলীর ছেলে।
শাহনাজ পারভিন বৃহস্পতিবার (২৬ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টা ১৬ মিনিটে তার ফেসবুক আইডিতে তিনটি ছবি পোস্ট করে তাতে ক্যাপশন লিখেন, আর কত, আমিও মানুষ আজ ১৪ দিন থেকে সইতে ছিলাম, এর আগেও চুপ ছিলাম, এবার চুপ থাকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু আর না। কারণ কুকুর কোন দিন ভালো হয় না। আর সইতে পারব না। ওর কাউকে বা ওকে কেউ এমন করলে কি করতো সে? এরপর বিচার চেয়ে যোগাযোগ করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে।
শাহনাজ পারভিন আজ শুক্রবার দুপুরে সাংবাদিকদের কাছে অভিযোগ করে বলেন, আমাকে দেখতে এসেই বিয়ে করেন খালাতো ভাই তৌহিদুল ইসলাম। এর কিছুদিন পর যৌতুক হিসেবে ১০ লাখ টাকা দাবি করে আমাদের কাছে। আমার সুখের সংসার টিকিয়ে রাখতে সে সময় তাকে নগদ ১০ লাখ টাকা দেওয়া হয়।
এরপর বগুড়ায় চাকরির সুবাদে সেখানে গিয়ে আদম দিঘির চাপাপুর গ্রামের রিমা নামের এক নারীকে বিয়ে করেন তৌহিদুল ইসলাম। সে বিয়ে আমাকে মেনে নিতে চাপ প্রয়োগ করে। আমি তার দ্বিতীয় বিয়ে না মানায় প্রায়ই আমার ওপর নির্যাতন চালানো হয়। তারপরেও সাড়ে তিন বছরের একটি বাচ্চা থাকায় নিরবে তার নির্যাতন সহ্য করে গেছি।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি দ্বিতীয় বউ রিমাকে ঘরে তোলার জন্য আমাকে চাপ দিতে থাকে। এনিয়ে প্রতিবাদ করায় গত ১৪ দিন আগে মেরে আমার বাম পা ভেঙে দেয়। এছাড়াও শরীরে বিভিন্ন স্থানে আঘাত করা হয়। পরে আমি কোনো রকমে শিবগঞ্জ থানার গেটের বাসা হতে বের হয়ে একা শিবগঞ্জ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা করাই। দিন দিন আমার স্বাস্থ্যের অবস্থা অবনতি হওয়ায় বৃহস্পতিবার বাবার বাড়ি বাগমারায় চলে আসি।
তিনি জানান, বিষয়টি শিবগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম, তদন্ত আতিকুল ইসলাম ও এসআই আনামকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে উল্টো তৌহিদুলের পক্ষ নিয়েছে।
শিবগঞ্জ থানার এসআই তৌহিদুল ইসলাম বলেন, আমি স্ত্রী শাহনাজ পারভিনকে নির্যাতন করিনি। সিঁড়ি হতে পড়ে তার পা ভেঙে গেছে। তিনি দ্বিতীয় বিয়ের কথা অস্বীকার করে বলেন, শাহনাজের মাথায় সমস্যা আছে। শরীরে আঘাতের চিহ্নর কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এলার্জি থাকায় শরীরের বিভিন্ন স্থানে দাগ পড়ে গেছে।
এদিকে বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে শিবগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ জানান, তাদের এটি পারিবারিক বিষয়।