ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,নারায়গঞ্জ প্রতিনিধি,২১ মার্চ : করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া প্রতিরোধে নারায়ণগঞ্জ বন্দরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের লাঙ্গলবন্দ মহাষ্টমী স্নানোৎসব বন্ধ ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন।আগামী ৩১ মার্চ ও ১ এপ্রিল স্নানোৎসব অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। প্রতি বছর এ স্নানে দেশ-বিদেশের লাখ লাখ পূণ্যার্থী হাজির হন।
গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক জসিমউদ্দিন বলেন, করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে সারা দেশে ধর্মীয়, রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। এ নির্দেশনা আমরা নারায়ণগঞ্জের সব ইউএনও ও ওসিদের জানিয়েছি। লাঙ্গলবন্দ অষ্টমী স্নানোৎসব বাতিল করতে আমরা হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের অনুরোধ জানিয়েছি। তারাও এটি মেনে নিয়েছেন।মহাতীর্থ লাঙ্গলবন্দ স্নানোৎসব উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুজিৎ সাহা বলেছেন, আগেই আমরা উৎসবের পরিসর ছোট করার চিন্তা করেছিলাম। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশের সাথে আমরা একমত। জেলা প্রশাসন আমাদের এ নির্দেশনা জানানোর পর আমরা ভক্তদের অনুরোধ জানাচ্ছি এবারের উৎসবে না আসতে। ভক্তদের সেবায় দেশের নানা প্রান্ত থেকে লাঙ্গলবন্দে ৩০-৪০টি ক্যাম্প বসে। যারা এ সেবা দিতে আসেন তাদের আমরা ফোন দিয়ে জানিয়ে দিচ্ছি না আসার জন্য। পরিস্থিতি নিয়ে আমরা স্থানীয় এমপি, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারের সাথে জরুরি সভা করব।হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী, দেবতা পরশুরাম হিমালয়ের মানস সরোবরে গোসল করে মাতৃহত্যার পাপ থেকে মুক্ত হন। এরপর তিনি এ পবিত্র পানি লাঙ্গল দিয়ে চষে হিমালয় থেকে সমভূমিতে নামিয়ে আনেন। যেখানে এসে তিনি লাঙ্গল থামান বা বন্ধ করেন সে স্থানটির নাম ‘লাঙ্গলবন্দ’। এটি নারায়ণগঞ্জ জেলার বন্দর উপজেলায় পড়েছে। প্রতিবছর চৈত্র মাসের অষ্টমী তিথিতে লাখ লাখ ভক্ত পাপমোচনের আশায় এখানে এসে পুরনো ব্রক্ষ্মপুত্র নদে অষ্টমী স্নান করেন। এ উপলক্ষে এখানে বসে সাত দিনের অষ্টমী মেলা।এদিকে, সব ধরনের জনসমাগম বন্ধের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশ যথাযথভাবে প্রচার করা হয়নি বলে মনে করছেন নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান। তিনি বলেছেন, জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এ নির্দেশনা প্রচার করা প্রয়োজন।তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ উদ্দৌলা খান বলেছেন, আমরা নির্দেশনা পেয়েছি। তথ্য অফিসের মাধ্যমে মাইকিং করার প্রস্তুতি নিচ্ছি।