প্যারিসে নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বলছেন, মরোক্কান বংশোদ্ভূত একজন বেলজিয়ান নাগরিক শুক্রবার রাতের সন্ত্রাসী হামলার সম্ভাব্য মূল পরিকল্পনাকারী বলে তারা সন্দেহ করছেন। আবদেল আবআউদ নামে ব্রাসেলসের এই বাসিন্দার বয়স ২৭। তিনি এখন ইসলামিক স্টেটের সাথে সিরিয়ায় অবস্থান করছেন।
প্যারিসের রেঁস্তোরা, বার এবং থিয়েটারে ওই হামলায় ১২৯ জন লোক নিহত হয়। যে লোকেরা এ আক্রমণ চালিয়েছে তার মধ্যে দু’জন ব্রাসেলসের যে এলাকায় থাকতো- সন্দেহভাজন মূল পরিকল্পনাকারী আবদেল হামিদ আবআউদও সেই একই এলাকার বলে জানা যাচ্ছে।
ওই আক্রমণের পর সন্দেহভাজন ইসলামী চরমপন্থীদের বিরুদ্ধে ফরাসী পুলিশ ১৫০টিরও বেশি অভিযান চালিয়ে এ পর্যন্ত মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার এবং বেশ কিছু অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করেছে। এসব অস্ত্রের মধ্যে আছে কালাশনিকভ রাইফেল ও রকেট লাঞ্চার। ১১ জন লোককে গৃহবন্দী করা হয়েছে।
ফরাসী প্রধানমন্ত্রী ম্যানুয়েল ভালস বলছেন, ওই হামলার সাথে জড়িত যাদের খোঁজ চলছে তার মধ্যে একজনের নাম ২৬ বছর বয়স্ক সালাহ আবদেসলাম। যে আত্মঘাতী হামলাকারীদের একজনের ভাই। সাতজন আক্রমণকারীর মধ্যে আরও দুজনের নাম আহমেদ আল-মোহামেদ এবং সামি আমিনুর বলে আজ জানানো হয়েছে।
অন্য পাঁচজনের নাম আগেই প্রকাশ করা হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, সে অভিবাসী হিসেবে এ বছরের শুরুর দিকে গ্রীস হয়ে ইউরোপে ঢুকেছিল।
ফ্রান্সের উত্তরে বেলজিয়ান সীমান্ত থেকে শুরু করে প্যারিসের উপশহরগুলো এবং দক্ষিণের তুলুস পর্যন্ত বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে এই তল্লাশি অভিযান চলছে।
তদন্তকারীরা বলছেন, শুক্রবার রাতের আক্রমণটির পরিকল্পনা করেছিল বেলজিয়ামের একটি গ্রুপ এবং তারা ফ্রান্সের কিছু লোকের সহযোগিতা পেয়েছিল ।
ফরাসী প্রধানমন্ত্রী মানুয়েল ভালস বলেছেন, ওই হামলা সংগঠিত হয়েছিল সিরিয়া থেকে, এবং ফ্রান্স ও ইউরোপের অন্যান্য দেশে আরো আক্রমণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। তিনি বলেণ, জরুরি অবস্থাকে কাজে লাগিয়ে জিহাদি আন্দোলনের সাথে যুক্ত লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। বেলজিয়ামে এ ঘটনার ব্যাপারে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ইসলামিক স্টেট এ হামলার দায়িত্ব স্বীকার করার পর গতরাতে ফ্রান্সের জঙ্গীবিমানগুলো সিরিয়ার রাকা শহরে, যা ইসলামিক স্টেট নিয়ন্ত্রিত এলাকার রাজধানী- একাধিক স্থাপনার ওপর ২০টি বোমা ফেলেছে। সূত্র : বিবিসি বাংলা