বিনা পয়সায় আরিফের পক্ষে লড়লেন বার প্রেসিডেন্ট

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১৬ মার্চ : কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে একজন সাংবাদিককে যেভাবে দণ্ড দেওয়া হয়েছে তা ক্ষমতার অপব্যবহার ছাড়া আর কিছুই নয় বলে মন্তব্য করেছেন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন।

তিনি আদালতে দাঁড়িয়ে বলেন, ‘সাংবাদিকরা হচ্ছে সমাজের দর্পণ। তারাই সমাজের নানা ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেন। সাংবাদিকরা জেগে  থাকলে সমাজে অন্যায় কম হয়। কুড়িগ্রামে মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে একজন সাংবাদিককে যেভাবে দণ্ড দেওয়া হয়েছে তা ক্ষমতার অপব্যাবহার ছাড়া আর কিছুই নয়।’

সোমবার (১৬ মার্চ) বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের হাইকোর্ট বেঞ্চে কুড়িগ্রামের সাংবাদিক আরিফের পক্ষে তিনি এসব কথা বলেন।

আইনজীবী এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, ‘সাংবাদিক আরিফের অপরাধ তিনি ডিসির বিরুদ্ধে নিউজ করেছেন। নিউজে কোনো ভুল থাকলে তার জন্য প্রেস কাউন্সিল আছে। মানহানির মামলা করার সুযোগ ছিল। কিন্তু তা না করে গভীর রাতে বাসার দরজা ভেঙে ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে সাজা দেওয়া হয়েছে। এটা অন্যায়। ক্ষমতার অপব্যবহার।’

কুড়িগ্রামের প্রত্যাহার ডিসি ও আরডিসি নাজিম

আদালত বলেন, ‘সংবাদপত্র হচ্ছে সমাজের চতুর্থ স্তম্ভ। এই চতুর্থ স্তম্ভ ( সাংবাদিকরা) যদি সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে তাহলে রাষ্ট্রের বাকি তিন স্তম্ভ (আইন সভা,নির্বাহী বিভাগ ও বিচার বিভাগ) সঠিক ভাবে দায়িত্ব পালন করে।’

শুনানি শেষে আদালত মধ্যরাতে বাসার দরজা ভেঙে সাংবাদিক আরিফুলকে সাজার মামলার নথি তলব করেন। পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী সোমবার (২৩ মার্চ) দিন ধার্য করেন আদালত। রিটের পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল দেবাশিষ ভট্রাচার্য।

উল্লেখ্য, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন স্বপ্রণোদিতভাবে সাংবাদিক আরিফের পক্ষে রিট মামলায় শুনানি করেছেন। এর জন্য কোনো ফি নেননি।

 

 

আরডিসি নাজিম ও দুই সহকারী কমিশনার