সরকারি চাকুরেরা বিদেশি কোনো নাগরিককে বিয়ে করতে চাইলে রাষ্ট্রপতির অনুমতি নিতে হবে। এমনকি বিয়ের আশ্বাস দেয়ার আগেও রাষ্ট্রপতির অনুমতি থাকতে হবে। আর অনুমতি না নিয়ে বিদেশি নাগরিক বিয়ে করলে সরকারি চাকুরেরা তাদের চাকরি হারাতে পারেন। এ সংক্রান্ত ১টি বিল অষ্টম অধিবেশনে পাস হয়েছে। এতে এখন রাষ্ট্রপতি স্বাক্ষর করলেই তা আইনে পরিণত হবে।
গত সোমবার রাতে জাতীয় সংসদে গণকর্মচারী (বিদেশী নাগরিকের সাথে বিবাহ) বিল, ২০১৫ পাসের জন্য উত্থাপন করেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। যদিও বিলটিতে জাতীয় পার্টির ফখরুল
ইমাম, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য ডা. রুস্তম আলী ফরাজী, স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য হাজী মো. সেলিমসহ বেশ কয়েকজন সদস্য জনমত যাচাইয়ের প্রস্তাব তুলে ধরে যুক্তি উপস্থাপন করেন।
এর আগে গত ৯ সেপ্টেম্বর বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়।
গণকর্মচারী (বিদেশী নাগরিকের সাথে বিবাহ) বিল হলে, গণকর্মচারী (বিদেশী নাগরিকের সাথে বিবাহ) আইন, ২০১৫ নামে অবহিত হবে।
পাসকৃত বিলে বলা হয়েছে, অন্য কোনো আইনে যা-ই থাকুক না কেন, কোনো গণ কর্মচারী পূর্ব অনুমতি ছাড়া কোনো বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করলে তাকে বিধি লংঘনের দায়ে চাকুরিচ্যুত করা যাবে। অনুমতিপ্রাপ্ত না হলে কোনো গণকর্মচারী বিদেশি নাগরিককে বিয়ে করতে বা বিয়ে করার আশ্বাস দিতে পারবেন না। এজন্য প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের বিয়ে করার বা এ বিষয়ে কাউকে প্রতিশ্রতি দেয়ার আগে রাষ্ট্রপতি বরাবরে অনুমতি চেয়ে আবেদন করতে হবে। অনুমতি পাওয়ার পরই কেবল বিয়ে করা যাবে।
বিলের উদ্দেশ্য কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দ্য পাবলিক সার্ভেন্টস ( ম্যারিজ উইথ ফরেইন ন্যাশনালস) অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬ সালের ১০ জুলাই জারি হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট থেকে ১৯৭৯ সালের ৯ এপ্রিল পর্যন্ত সময়ের মধ্যে জারীকৃত কতিপয় অধ্যাদেশ কার্যকরণ (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ২০১৩ দ্বারা কার্যকর রাখা হয়েছে। অধ্যাদেশগুলো বাংলায় প্রণয়নের সিদ্ধান্ত হয়। সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের মতামত গ্রহণ করে গণকর্মচারী (বিদেশী নাগরিকের সাথে বিবাহ) আইন, ২০১৫-এর বিল প্রণয়ন করা হয়।