ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,২০ জানুয়ারি : ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের (ক্যা) সমর্থনে করা বিজেপির ”তিরঙ্গা যাত্রা” ঘিরে রবিবার উত্তাল হয়ে উঠে দেশটির মধ্যপ্রদেশের রাজগড় জেলা। প্রথমে সেখানে মিছিল পূর্ববর্তী সমাবেশে বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে রাজ্য প্রশাসনের বিরোধ বাধে। রাজগড়ের কালেক্টর নিধি নিবেদিতা ১৪৪ ধারা জারি থাকার কথা জানিয়ে বিজেপি কর্মীদের মিছিল করতে নিষেধ করেন। কিন্তু নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে মিছিল করতে চাইলে কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির কর্মীদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক শুরু হয়। এরই এক পর্যায়ের এক বিজেপি নেতাকে কষে থাপ্পড় মেরে বসেন নিধি নিবেদিতা। এরপরই পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে উঠে। নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। অভিযোগ লাঠিচার্জও করে পুলিশ, এতে ২ বিজেপি কর্মী আহত হয়েছে।
এনডিটিভির খবর, রাজগড় জেলায় ১৪৪ ধারা জারি থাকার কারণে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থনে আয়োজিত বিজেপির ওই কর্মসূচিতে অনুমতি দেয়নি প্রশাসন। কিন্তু তা সত্ত্বেও বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে সেখানে হাজির হন বহু বিজেপি কর্মী। প্রথমে কালেক্টর নিধি নিবেদিতা এবং রাজগড়ের পুলিশ সুপার বিজেপি কর্মীদের ওই সমাবেশ না করার বিষয়ে বোঝানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করলেও সেই কথাও কান দেননি বিজেপি কর্মীরা।
অভিযোগ এই সময় প্রশাসনিক কাজ সামলানো কিছু কর্মকর্তাকে হেনস্থা করে বিজেপি কর্মীরা। এসডিএম প্রিয়া ভার্মা মিছিল নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টাও করছিলেন। সেই সময়েই কিছু বিজেপি কর্মী ঝামেলা শুরু করলে এক বিজেপি নেতাকে রেগে গিয়ে কষে থাপ্পড় মারেন কালেক্টর নিধি নিবেদিতা। ঘটনার পর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশকে লাঠিচার্জ করতে হয়। এছাড়া বিক্ষোভ প্রদর্শনকারী ৮-১০ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে, এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বিজেপি বলেছে, যেভাবে দু’জন নারী প্রশাসনিক কর্মকর্তা সিএএ-র সমর্থকদের মারধর করেছে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। বিজেপির কেন্দ্রীয় সহ সভাপতি তথা মধ্যপ্রদেশের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিং চৌহান টুইট করেন, “আজকের দিনটিকে গণতন্ত্রের অন্যতম অন্ধকার দিন হিসাবে গণ্য হবে।”
রাজ্যে তুঘলকি শাসন চলছে বলে দাবি করে আরও একটি টুইট করেন তিনি। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী চৌহান লেখেন, “কালেক্টর ম্যাডাম, আপনি বলুন আপনি কোন আইনে এমন শিখেছেন যে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করা মানুষজনকে এভাবে মারধর করা যায়? কোন আইনে আপনি এই অধিকার পেয়েছেন? মানুষ এই স্বৈরতন্ত্র মেনে নেবে না”।