নির্ভুল ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে প্রশংসায় ভাসছে ইরান

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,১১ জানুয়ারি : প্রতিশোধ হিসেবে ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কারণে প্রশংসায় ভাসছে ইরান। সোলাইমানি সমর্থকদের পাশাপাশি বিশ্লেষকরাও ইরানের প্রশংসা করছেন। এর কারণ- নির্ভুলভাবে মার্কিন ঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে তেহরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো।হামলার সময় ইরানের অন্তত ২২টি ক্ষেপণাস্ত্র মার্কিন ঘাঁটিতে নির্ভুলভাবে আঘাত হানে। এই নির্ভুলতার কারণে ইরানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বিশ্লেষকরা। এমনকি মার্কিন নিরাপত্তা বিশ্লেষকরাও ইরানের নির্ভুলতার প্রশংসা করছেন। ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটি আইন আল আসাদে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় তেহরান। ইরান সীমান্ত থেকে যা প্রায় ৪৫০ কিলোমিটার দূরে। সে হিসাবে, একেবারে সীমান্তবর্তী রেখা থেকে হামলা চালানো হলেও ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ৪৫০ কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে লক্ষ্যে আঘাত হেনেছে। সীমান্তের ভেতরের দিক থেকে হামলা চালালে দূরত্বের পরিমাণ আরও বেশি।অর্থাৎ, ৪৫০ থেকে ১ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিয়ে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে মার্কিন ঘাঁটিতে। এ কারণে প্রশংসায় ভাসছে তেহরান। এতদিন বিশ্লেষকরা ইরানের মুখ থেকে শুধু শুনেই এসেছে যে- তাদের ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে সক্ষম। এবার বাস্তবে তা দেখল বিশ্বের সব দেশের নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা।মার্কিন ঘাঁটিতে হামলার পর যুক্তরাষ্ট্রের অস্ত্র বিশেষজ্ঞ জেফরি লুইস আইন আল আসাদ ঘাঁটির ক্ষতিগ্রস্ত অংশের ছবি পোস্ট করেন। সেখানে তিনি ইরানের প্রশংসা করে বলেন, তেহরানের তৈরি ক্ষেপণাস্ত্র নির্ভুলভাবে লক্ষ্যে আঘাত হানতে পারে। মার্কিন ঘাঁটির ছবি পোস্ট করে জেফরি লুইস বলেন, ইরানিরা ‘মিস’ করেনি। এসব ভবনে নির্ভুলভাবেই আঘাত করা হয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির পরমাণু বিশেষজ্ঞ ভিপিন নারাং জানান, ইরানের এই নির্ভুলতার বিপ্লব সত্যি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিযোগী হয়ে উঠেছে ইরান। ভিপিন নারাং তার টুইটার পোস্টে লেখেন, আমার কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- কী নির্ভুলভাবে আঘাত হেনেছে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রগুলো। ইরানও হয়তো বিস্মিত হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের একচেটিয়া আধিপত্য শেষ। আধুনিক যুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্রের নির্ভুলতার প্রভাব বিশাল।প্রসঙ্গত, ৩ জানুয়ারি (শুক্রবার) ভোররাতে ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলায় নিহত হন ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল কাসেম সোলাইমানি। তিনি ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর (আইআরজিসি) এলিট শাখা কুদস ফোর্সের প্রধান ছিলেন।সোলাইমানি নিহত হওয়ার পর থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে সর্বোচ্চ উত্তেজনা বিরাজ করছে। কয়েকদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা হামলার হুমকি দিয়ে আসছিল ইরান। অবশেষে বুধবার ভোররাতে (৮ জানুয়ারি) সেই হামলা চালায় তারা। এরপর ধারণা করা হচ্ছিল, ইরানের বিরুদ্ধে কঠিন কোনো পদক্ষেপই হয়তো নেবেন ট্রাম্প। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ইরানকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।