ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,০৮ জানুয়ারি : রাজধানীর কুর্মিটোলায় রাস্তা থেকে তুলে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার মজনু (৩০) মাদকাসক্ত, ছিনতাইকারী ও সিরিয়াল রেপিস্ট। আজ বুধবার (৮ ডিসেম্বর) কাওরানবাজারে র্যাব কার্যালয়ে লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক সারোয়ার বিন কাসেম সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘মজনু সিরিয়াল রেপিস্ট। এর আগে একই জায়গায় সে এ ধরনের অপরাধ করেছে। প্রতিবন্ধী, ভিক্ষুকসহ বিভিন্ন নারীদের সে আটকে রেখে ধর্ষণ করত। তাদের হত্যার হুমকিও দিত। মজনু স্বীকার করেছে সে একাই ছিল, ভিকটিমও তেমনই বলেছে। ঘটনার দিন মজনু কুর্মিটোলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে রাস্তায় বের হওয়ার পর মেয়েটিকে দেখতে পায়। এর পরই সে আলোড়িত হয়। পরে মেয়েটিকে অনুসরণ করে তার পিছু পিছু যায়।’তিনি আরও বলেন, ছবি দেখিয়ে ভিকটিমের কাছ থেকে আসামিকে শনাক্ত করা হয়েছে। ভিকটিম বলেছে, সব চেহারা ভুলে গেলেও এই চেহারা তিনি কোনো দিনও ভুলবেন না।জিজ্ঞাসাবাদে মজনু র্যাবকে জানিয়েছে, সে নিরক্ষর। ট্রেন থেকে পড়ে গিয়ে তার সামনের দুটি দাঁত ভেঙে যায়। স্ত্রী মারা যাওয়ার পরে সে আর বিয়ে করতে পারেনি। তাই সে এ ধরনের কাজ করত। গ্রেফতারের বিষয়ে র্যাব জানায়, মামলাটি ক্লুলেস ছিল। মূলত ভিকটিমের মোবাইলের সূত্র ধরেই তাকে গ্রেফতার করতে আমরা সক্ষম হই। মজনুর কাছ থেকে ভিকটিমের ব্যাগ, পাওয়ার ব্যাংক ও মোবাইল উদ্ধার করা হয়। মজনু সেই মোবাইলটি শেওড়া এলাকার অরুনা নামে একজনের কাছে দেয়। অরুনা সেই মোবাইলটি খায়রুল নামে একজনের কাছে বিক্রি করে। সেই মোবাইলের সূত্র ধরেই মজনুকে গ্রেফতার করে র্যাব। ওই এলাকায় গিয়ে জানা যায় সে প্রায় ওই এলাকায় ওঁৎ পেতে থাকত।এর আগে গতকাল মঙ্গলবার রাতে গাজীপুরের টঙ্গী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষণিকা বাসে করে ওই ছাত্রী বান্ধবীর বাসায় যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে কুর্মিটোলা বাসস্টপেজে নামার পর তাকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তি অনুসরণ করতে থাকে। একপর্যায়ে তাকে ফুটপাতের ঝোপে নিয়ে ধর্ষণ করে। রাত ১০টার দিকে জ্ঞান ফিরলে ওই শিক্ষার্থী রিকশায় করে বান্ধবীর বাসায় যান। সেখান থেকে বান্ধবীসহ অন্য সহপাঠীরা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সোমবার (৬ জানুয়ারি) সকালে অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে ওই ছাত্রীর বাবা ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তদন্ত করছে।ধর্ষণের শিকার ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে চিকিৎসাধীন।ধর্ষণের এ ঘটনায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।