ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি,০৫ জানুয়ারি : কোনো আমেরিকান কিংবা মার্কিন সম্পদে ইরান হামলা চালালে দেশটির ৫২টি স্থাপনায় পাল্টা আঘাত করার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের আল-কুদস ফোর্সের প্রধান মেজর জেনারেল কাসেম সোলাইমানি নিহত হওয়ার একদিন পর তিনি এমন মন্তব্য করেছেন। এদিকে তাকে হত্যার ঘটনায় শোক জানাতে লাখ লাখ লোক ইরাকের রাস্তায় নেমে এসেছেন। শুক্রবার সকালে বাগদাদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে বের হওয়ার পর মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানের জেনারেল কাসেম সোলাইমানি ও ইরাকি কমান্ডার আবু মাহদি আল-মুহান্দিস। এতে মধ্যপ্রাচ্যে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা ও সংঘাত নতুন করে বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। টুইটারে ট্রাম্প বলেন, সোলাইমানির হত্যার প্রতিশোধ নিতে মার্কিন স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর দুঃসাহসের কথা বলছে ইরান।ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ইরানের ৫২টি স্থাপনাকে হামলার জন্য শনাক্ত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যার মধ্যে অনেকগুলো খুবই উচ্চ পর্যায়ের ও গুরুত্বপূর্ণ। ইরানের সাংস্কৃতিক দিক থেকেও এসব স্থাপনা তাৎপর্যপূর্ণ।
Donald J. Trump✔@realDonaldTrump
….hundreds of Iranian protesters. He was already attacking our Embassy, and preparing for additional hits in other locations. Iran has been nothing but problems for many years. Let this serve as a WARNING that if Iran strikes any Americans, or American assets, we have…..
….targeted 52 Iranian sites (representing the 52 American hostages taken by Iran many years ago), some at a very high level & important to Iran & the Iranian culture, and those targets, and Iran itself, WILL BE HIT VERY FAST AND VERY HARD. The USA wants no more threats!
ইরান যদি দ্রুত ও কঠিনভাবে আঘাত হানে তবে এসব স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু বানাবেন বলে হুশিয়ারি করেছেন ট্রাম্প।তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের কোনো হুমকির দরকার নেই। এই ৫২ স্থাপনা ১৯৭৯ সালের নভেম্বরে মার্কিন দূতাবাসে ৪৪৪ দিন জিম্মি থাকা ৫২ মার্কিন নাগরিকের প্রতিনিধিত্ব করছে। তবে এসব স্থাপনার কথা উল্লেখ করেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট।এদিকে ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবও ইরানের সম্ভাব্য ২৫ লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে। ইরানি বার্তা সংস্থা তাসনিমের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে রয়টার্স।ইরানের বিপ্লবী গার্ডস কমান্ডার জেনারেল গোলাম আলী আবু হামজাহর উদ্বৃতি দিয়ে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়।গোলাম আলী আবু হামজাহ বলেছেন, ইসরাইলের রাজধানী তেলআবিবসহ ৩৫টি লক্ষ্যবস্তু আমাদের আওতায়। কাজেই কাসেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ নিতে যেখানে আমেরিকানরা আমাদের আওতায় থাকবে, সেখানেই তাদের শাস্তি দেয়া হবে।পারস্য উপসাগরের জাহাজগুলো সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যবস্তু হতে পারে বলে আশঙ্কা জাগিয়েছেন সোলাইমানির নিজ শহর কেরমানের বিপ্লবী গার্ডসের এই কমান্ডার।শুক্রবার তিনি বলেন, সোলাইমানির হত্যায় যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেয়ার অধিকার ইরানের রয়েছে।তিনি বলেন, পশ্চিমাদের জন্য হরমুজ প্রণালী খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি জলপথ। এখান দিয়ে মার্কিন ডেস্ট্রয়ার ও যুদ্ধজাহাজের বড় একটা সংখ্যক চলাচল করে। বহু আগেই এ অঞ্চলে মার্কিন লক্ষ্যবস্তুগুলো শনাক্ত করে রেখেছে ইরান।এদিকে শনিবার লেবাননের এক হিজবুল্লাহ কর্মকর্তা বলেন, সোলাইমানি হত্যার ঘটনায় ইরান সমর্থিত জোট প্রতিরোধের অক্ষের জবাব হবে চূড়ান্ত।