টাঙ্গাইলে যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে অমানুষিক নির্যাতন করলো পুলিশ কনস্টেবল রিপন

SHARE

সৌজন্যে : টাঙ্গাইল প্রতিদিন

প্রতিদিন প্রতিবেদক: টাঙ্গাইলে যৌতুকের টাকা না দেওয়ায় স্ত্রীকে হত্যার উদ্দেশ্য মারধর করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশ কনস্টেবল রিপনের বিরুদ্ধে। সে টাঙ্গাইল মডেল থানায় কনস্টেবল হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রানী আক্তারের সাথে ২০১০ সালের ০৮ অক্টোবর মো.রিপন এর আট লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয়।

রানী আক্তার বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ উপজেলার গনকপাড়া গ্রামের আনিছুর রহমানের মেয়ে ও রিপন একই উপজেলার মির্জাপুর গ্রামের এরশাদুল হকের ছেলে। সম্পর্কে স্বামী স্ত্রী মামাতো-ফুফাতো ভাই বোন। তাদের সংসারে রাদিফা মাহজাবিন নাইরা নামের তিন বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে।

বিবাহের সময় চাকরির কথা বলে চার লাখ টাকা যৌতুক নেয়া হয়। পরবর্তীতে রিপন রেশন কার্ডের কথা বলে কৌশলে ২০১২ সালের ১৬ নভেম্বর ২ লাখ টাকার নতুন করে কাবিন নামা রেজিস্ট্রি করে।

চলতি বছরে কনস্টেবল রিপন পুনরায় পাঁচ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে নির্যাতন করতে থাকে। শিশু কন্যার কথা চিন্তা করে সকল নির্যাতন সহ্য করে রানী আক্তার। এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৯ সালের ১০ মার্চ রিপন তার স্ত্রী ও কন্যা সন্তানকে হত্যা সহ মিথ্যা মামলায় ফাসানোর হুমকি প্রদান করে মধ্যযুগীয় কায়দায় মারধর করে ভাড়া বাসা হতে তাড়িয়ে দেয়। একই সাথে আরো হুমকী দেয় যে, বেশী যৌতুক নিয়ে অন্যত্র বিবাহ করবে।

পাঁচ লাখ টাকা না দেয়ায় রিপন গোঁপনে বিবাহ করে। বিভিন্ন স্থানে খোজ নিয়ে রানী আক্তার জানতে পারে তার স্বামী রিপন তার সহকর্মী নাজলী নামের এক নারী পুলিশকে বিবাহ করেছে। এরপর কৌশলে নাজলী আক্তারের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলে ০১৭০০ ৫৪৯৩৮০ সে রিপনকে তার স্বামী বলে স্বীকার করে এবং রানী আক্তারকে হত্যার হুমকি প্রদান করে।যা মোবাইল ফোনে রেকর্ড রয়েছে।

পরবর্তীতে সোমবার ( ০২ ডিসেম্বর) দুপুরে রিপন বাসায় এসে স্ত্রী রানীকে তালাক দিতে বলে। কিন্তু রানী তাতে রাজী না হওয়ায় হত্যার উদ্দেশ্য কাঁচের বোতল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। এরপর রানীর ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ অভিযোগ পত্রের উপর ভিত্তি করে সরেজমিনে জানা যায়, আহত রানী আক্তার টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

রানী আক্তার তার উপর বর্বরচিত নির্যানের বিচার ও তার সংসার যাতে আগের মত হয় সেব্যবস্থা করা জন্য আবেদন করেছেন।

কনস্টেবল রিপন মিয়ার সাথে মুঠো ফোনে কথা হলে সে তার স্ত্রীকে মারধর করার কথা অস্বাীকার করে। এবং নারী পুলিশ সদস্যকে বিবাহ করার কথা অস্বীকার করে তা ভিত্তিহীন দাবি করেন।

এ ঘটনায় প্রতিবেশী সুমাইয়া খানম জানান, রানী আক্তারকে রক্তাক্ত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করায় পুলিশ রিপন আমাকে ও রিক্সা চালক লিটন মিয়াকে হুমকি প্রদান করছে। এ অবস্থায় আমরা নিরাপত্তাহীনতায় জীবন যাপন করছি।