কনস্টেবলকে পেটালেন ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি!

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,বাঞ্ছারামপুর প্রতিনিধি,২৪ নভেম্বর : ব্রা‏হ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুরে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় কেন্দ্রে নকল সরবরাহ করতে বাধা দেওয়ায় এক পুলিশ সদস্যকে ইউনিয়ন যুবলীগের এক নেতা পিটিয়ে আহত করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।

রোববার বেলা ১২টার দিকে উপজেলার ছলিমাবাদ আদর্শ বিদ্যালয় কেন্দ্রে এই ঘটনা ঘটে। ছলিমাবাদ ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হক অপুর পিটুনিতে আহত ওই কনস্টেবলের নাম নজরুল ইসলাম।

এই ঘটনায় কেন্দ্র সচিব পারভীন আক্তার বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় মামলার আবেদন করেছেন। আহত পুলিশ সদস্যকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

কনস্টেবল নজরুল ইসলাম বলেন, এক ব্যক্তি নকল নিয়ে তার এক আত্মীয়কে কেন্দ্রে দিতে গেলে আমি বাধা দেই। এতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে এবং আমাকে ধাক্কা মেরে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর সে ৬০ থেকে ৭০ জন লোক নিয়ে এসে কেন্দ্রের ভেতরে আমার ওপর হামলা চালায়। এ সময় তারা আমাকে কিল ঘুষি ও লাথি মারে।

তিনি বলেন, কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও শিক্ষকরা আমাকে তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করে। পরে ওসি স্যার গিয়ে আমাকে নিয়ে আসে এবং হাসপাতালে চিকিৎসা করান। যে হামলা করেছিল পরে জানতে পারি তার নাম অপু।

ছলিমাবাদ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিব পারভীন আক্তার বলেন, আমরা স্কুলে আমার কক্ষে বসা ছিলাম। চিল্লাচিল্লি শুনে বাইরে গিয়ে দেখি অনেক লোকজন কেন্দ্রের ভেতর প্রবেশ করেছে। এবং পুলিশ সদস্যকে মারধোর করেছে ও তিনটি খাতা ছিঁড়ে ফেলেছে লোকজন। আমি এই ঘটনায় থানায় একটি এজহার জমা দিয়েছি।

ছলিমাবাদ আদর্শ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কবির হোসেন বলেন, নকল সরবরাহ করতে বাধা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে অপু নামের একজন পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলামের ওপর হামলা চালায়। আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করি। এরা সংখ্যায় ৩০ থেকে ৪০ জন ছিল। তারা তিনটি খাতাও ছিঁড়ে ফেলে।

বাঞ্ছারামপুর থানার ওসি সালাহ উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ছলিমাবাদ কেন্দ্রে অপু নামের এক ছেলে কেন্দ্রে নকল সরবরাহ করতে গেলে পুলিশ সদস্য নজরুল ইসলাম বাধা দেওয়ায় তাকে মারধর করে। খবর পেয়ে আমি গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে চিকিৎসা করাই। এই ঘটনায় কেন্দ্রেসচিব বাদী হয়ে একটি এজহার জমা দিয়েছেন। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাছির উদ্দিন সরোয়ার বলেন, আমি ট্রেনিং এ আছি। তবে ছলিমাবাদ কেন্দ্রের ঘটনা আমি শুনেছি। কেন্দ্রের সচিবের আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা।