ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,নিজস্ব প্রতিনিধি,১৭ নভেম্বর : মানুষ নামের একটি যন্ত্র মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মাস্তান থাকে। এর উদাহরন পুরাতন ঢাকার হাজী সেলিম। টোকাই থেকে এখন কোটি কোটি টাকার মালিক। ফাইভ পর্যন্ত লেখাপড়া জানা এখন এমপি সরকারের পাওয়ারফুল শক্তি তার হাতে। আল্লাহ আজ তাকে বর্তমানে বাকহীন একটি রোবট বানিয়ে রেখেছে। তবু ও মাস্তানী কমেনি।পুরান ঢাকার লালবাগে শহীদ হাজী আবদুল আলীম মাঠের সংস্কার শেষে উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন কাউন্সিলর হাসিবুর রহমান মানিক। কাউন্সিলরকে মারধর করেন তিনি। স্ক্রিনে নাম না থাকায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক পর্যায়ে নিজেই মঞ্চে উঠে মাইক ফেলে দেন হাজী সেলিম। বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন তিনি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এ মাঠের সংস্কার কাজ সম্পন্ন করেছে। গতকাল ডিএসসিসি মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন। সে হিসেবে ২৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। মাঠের ভিতরে বড় মঞ্চ নির্মাণ করা হয়। পেছনে এলইডি স্ক্রিন বসানো হয়। বেলা ৩টায় ঢাকা-৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোহাম্মদ সেলিম মাঠের ভিতরে প্রবেশ করে মঞ্চে এলইডি স্ক্রিনে তার ছবি ও নাম না দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এক পর্যায়ে তিনি নিজেই মঞ্চে উঠে মাইক ফেলে দেন। বিচ্ছিন্ন করে দেন বিভিন্ন বৈদ্যুতিক সরঞ্জামের সংযোগ। পরে অনুষ্ঠানে আসা ব্যক্তিরা তার এ আচরণের কারণ জানতে চাইলে হাজী সেলিমের অনুসারীরা বলেন, এ এলাকার সংসদ সদস্য হিসেবে হাজী সেলিমকে যথাযথ সম্মান দেওয়া হয়নি। এর জন্য ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাসিবুর রহমানকে দায়ী করেন তারা। এক পর্যায়ে হাজী সেলিম হাসিবুরের দিকে তেড়ে আসেন, তার গায়ে হাত তোলেন। সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মকর্তাকেও তার অনুসারীরা ধাক্কা দেন। এতে ব্যাপক হট্টগোল সৃষ্টি হয়। ৩টায় শুরু হওয়া এ উত্তেজনা চলে আধা ঘণ্টা। পরে মেয়র সাঈদ খোকন এলে পরিস্থিতি শান্ত হয়। মেয়র পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে মাঠের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু করেন। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পর্যাপ্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। ‘জল সবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের আওতায় ডিএসসিসি লালবাগের শহীদ হাজী আবদুল আলীম খেলার মাঠের সংস্কারকাজ করে। প্রায় ৭৫ কাঠা আয়তনের এ মাঠ সংস্কারে ৮ কোটি ১০ লাখ টাকা খরচ হয়েছে। এ মাঠে ফুটবল, ক্রিকেট খেলার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। মাঠের চারপাশে হাঁটার পথ, জিমনেসিয়াম, পাবলিক টয়লেট, ক্যাফেটেরিয়া, কফি শপসহ নানা ধরনের বিনোদনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।