ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,০৬ নভেম্বর : কুমিল্লার হোমনা ওপারচর পাইয়া গাজীর বাড়িতে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ুয়া এক শিশু গৃহপরিচারিকাকে ধ’র্ষণের ঘটনা ঘটেছে। হোমনা উপজেলার ওপারচর পাইয়া গাজী বাড়ীতে গত ৪ নভেম্বর সোমবার এ ঘটনা ঘটে।
ভিকটিমের পরিবার ও ধর্ষকের পরিবার ধ’র্ষণের আলামত নষ্ট করে বিষয়টি গোপনে ধামাচা’পা দেয়ার চেষ্ঠা করে। খবর পেয়ে এক সাংবাদিক তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে নি’র্যাতনের শিকার হলে বিষয়টি আলোচিত হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ধ’র্ষণের শিকার হওয়া শিশুটি গত কয়েক বছর ধরে ওপারচর গ্রামের আজমল হোসেনের ঘরে গৃহপরিচারিকার কাজ করে আসছে এবং সে ওপারচর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণীতে পড়ছে।
সোমবার সকালে প্রতিবেশি স্থানীয় আব্দুর রহমান ও বিএনপি’র নারী নেত্রী পারুল আক্তারের ছেলে কলেজ পড়ুয়া সাইদুর রহমান রতন প্রকাশ সাব্বির শিশুটিকে একা পেয়ে জোড়পূর্বক ধ’র্ষণ করে।
এসময় শিশুটির শোর-চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ওই স্কুলের এক শিক্ষিকার সহযোগিতায় শিশুটিকে উ’দ্ধার করে। এ সময় ধ’র্ষক সাব্বির পালিয়ে যায়।
পরে শিশুটিকে গোসল করিয়ে পরনের প্যান্ট-জামা ধুয়ে ঘটনা ধামাচা’পা দেয়ার চেষ্ঠা করে আজমল হোসেনের মেয়ে মুক্তা পারভীন ও তার স্বামী বশিরুল্লাহ মাজারের খাদেম ফরহাদ।
ভিকটি’মকে একাধিকবার ধ’র্ষণ করা হয়েছে এমন একটি স্বিকারোক্তিমূলক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগে ভাইরাল হলে তথ্য যাচাই করার জন্য দৈনিক সংবাদ’র হোমনা প্রতিনিধি ও বিজয় টিভি’র কুমিল্লা উত্তর প্রতিনিধি মো. আবুল কাশেম ভূঁইয়া সংবাদ সংগ্রহ করতে ঘটনাস্থলে যায়।
এ সময় ভি’কটিমের পরিবারের কর্তা মুক্তা পারভীন ও ফরহাদ তাকে মে’রে ও গালম’ন্দ করে লা’ঞ্ছিত করে এবং হাতের মোবাইল ফোন ছি’নিয়ে নেয়ার চেষ্ঠা করে সেটি ভেঙ্গে ফেলে।
এই ঘটনায় খবর পেয়ে পুলিশের কুমিল্লার ( হোমনা-মেঘনা) সার্কেল সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুল করিম অ’ভিযানে নামে এবং ঘটনার সত্যতা পেয়ে ভি’কটিমকে উ’দ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
পরে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকা থেকে ধ’র্ষক সাব্বিরকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর হোমনা থানায় নিয়ে আসে।
এই ব্যাপারে সাংবাদিক এমএ কাশেম ভূইয়া বলেন, আমি বাড়িতে গেলে তারা সৌজন্য আ’চরণ না করেই আমার উপর চ’ড়াও হয় এবং এক পর্যায়ে আমার হাত থেকে মোবাইল ফোন ছি’নিয়ে নিয়ে সেটি ভে’ঙ্গে ফেলে আমাকে শারিরকভাবে লা’ঞ্চিত করে। এ বিষয়ে আমি থানায় অ’ভিযোগ করেছি।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ মো. ফজলে রাব্বি জানান, রাতে আমরা গৃহপরিচারিকা শিশুটিকে উ’দ্ধার করেছি।
ভিকটিমের মা রোমেলা বেগম মঙ্গলবার বাদি হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। বিকালে অ’ভিযুক্ত সাব্বিরকে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়। আমরা প্রযুক্তি ব্যবহার করে ধ’র্ষকে আটক করতে সক্ষম হতে পেরেছি।