ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,০১ নভেম্বর : আটটি বৃহৎ মুসলিম দেশের সংগঠন ডি-এইটের ১০ম সম্মেলন হবে বাংলাদেশে। এপ্রিলের তৃতীয় সপ্তাহে ঢাকায় এ আয়োজন হবে।বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাতে এসে এ কথা জানান ডি-এইটের মহাসচিব রাষ্ট্রদূত জাফর কু শারি। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।তিনি বলেন, ডি-এইটের আগামী ঢাকা সম্মেলনে বাংলাদেশকে জোটের পরবর্তী চেয়ারম্যান করা হবে; যা কাকতালীয়ভাবে ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের সঙ্গে মিলে গেছে।ডি-এইটের মহাসচিব সংগঠনের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদার করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।তিনি বলেন, ঢাকা সম্মেলনে ২০৩০ সালের এজেন্ডার সঙ্গে মিল রেখে নতুন উদ্যোগ ও ধারণা গ্রহণ করা হবে। রাষ্ট্রদূত জাফর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। ‘বাংলাদেশ অন্য দেশের জন্য অনুকরণীয় উন্নয়নের একটি মডেল হতে পারে’, বলেন তিনি। তিনি ডি-এইট সদস্য দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল বরাদ্দেরও দাবি জানান।শেখ হাসিনা এ বিষয়ে ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, বর্তমানে আমরা ১০০ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছি। সেখান থেকে ডি-এইট সদস্য দেশগুলোর জন্য ভূমি বরাদ্দ দেওয়া যেতে পারে।মহাসচিবকে স্বাগত জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তার গতিশীল নেতৃত্বে সংগঠনটিকে দৃশ্যমান করার জন্য এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে অংশীদারিত্ব গড়ে তোলায় উদ্ভাবনী ধারণা এবং অক্লান্ত পরিশ্রমের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমরা আরও উন্নয়নের জন্য সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময় করতে পারি।প্রধানমন্ত্রী এবং মহাসচিব উভয়েই ডি-এইট সদস্য দেশগুলোর মধ্যে কানেকটিভিটি সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।ডি-এইট সদস্যভুক্ত দেশগুলো হচ্ছে- বাংলাদেশ, মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্ক। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান এ সময় অন্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।