হাসপাতাল থেকে আবার কারাগারে সম্রাট

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১২ অক্টোবর : ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের বহিষ্কৃত নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ওরফে ক্যাসিনো সম্রাটকে হাসপাতাল থেকে শনিবার (১২ অক্টোবর) কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ মাহাবুবুল ইসলাম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট সূত্র এর আগে জানিয়েছিল, শনিবার সম্রাটকে তারা হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেবে। হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউট-এর এনআইসিভিডির সহযোগী অধ্যাপক ডা. মহসিন আহমেদ বলেন, ‘সম্রাটের জন্য গঠিত ৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ডের সবাই আজ সকালে তাকে দেখেছেন। তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল। বোর্ডের সদস্যরা মনে করেন, তার হাসপাতালে থাকার প্রয়োজন নেই। তাই সকাল সাড়ে ৯টায় তাকে ছাড়পত্র দেয়া হয়।’ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে (কেরানীগঞ্জ) ডেপুটি জেলার জাহিদ জানান, বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড পাওয়া ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাটকে কারাগারে আনা হচ্ছে।এর আগে গত মঙ্গলবার সম্রাট ‘অসুস্থ’ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য তাকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকায় আনা হয়। প্রথমে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেয়া হয়। সেখান থেকে সম্রাটকে হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে পাঠানোর পরামর্শ দেন চিকিৎসক।ওইদিন সকালেই সম্রাটকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে হৃদ্‌রোগ ইনস্টিটিউটে নিয়ে যাওয়া হয়।গত রোববার ভোররাতে যুবলীগের নেতা সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হককে কুমিল্লার মুরাদনগর থেকে আটক করে র‍্যাব।এরপর সম্রাটের তথ্যের ভিত্তিতে তাকে সঙ্গে নিয়ে র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত রোববার দুপুরে তার কার্যালয় কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালান। সেখান থেকে পিস্তল, গুলি, ইয়াবা বড়ি, বিদেশি মদ উদ্ধার করা হয়। এ ছাড়া দুটি ক্যাঙারুর চামড়া, বৈদ্যুতিক শক দেয়ার দুটি যন্ত্র ও লাঠি উদ্ধার করা হয়।বন্য প্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে রোববার রাতে সম্রাটকে কেরানীগঞ্জের ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।সম্রাট ও তার সহযোগী আরমানের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে র‍্যাব। এর মধ্যে ঢাকার রমনা থানায় তাদের বিরুদ্ধে দুই আইনে দুটি মামলা হয়েছে। আর কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থানায় আরমানের বিরুদ্ধে মাদক আইনে একটি মামলা হয়েছে।রমনা থানায় দুটি মামলার মধ্যে একটি অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে, অন্যটি মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে। অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় শুধু সম্রাটকে আসামি করা হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় সম্রাটের সঙ্গে আরমানকেও আসামি করা হয়।অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ মামলায় সম্রাটকে গ্রেফতার দেখিয়ে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে পুলিশ।