ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,০৯ অক্টোবর : বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট)-এর ১৫ ব্যাচের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরও তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলেন- শামসুল আরেফিন রাফাত (২১), মনিরুজ্জামান মনির (২১) ও আকাশ হোসেন (২১)। এর আগে সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে ১০ জনতে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) ডিএমপির পক্ষ থেকে এ খবর জানানো হয়েছে।
ওবায়দুর রহমান বলেন, বিকাল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর জিগাতলা এলাকা থেকে শামসুল আরেফিন রাফাতকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ (দক্ষিণ)। তিনি বুয়েটের মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৭ ব্যাচের ছাত্র।
ডিবি দক্ষিণ বিভাগের (লালবাগ জোন) অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার খন্দকার রবিউল আরাফাত জানান, সন্ধ্যায় ডেমরা থেকে মনিরুজ্জামান মনিরকে ও গাজীপুরের বাইপাল থেকে আকাশ হোসেনকে গ্রেফতার করে গোয়েন্দা পুলিশ। আকাশ সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এবং মনির বুয়েটের ওয়াটার রির্সোসেস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের।
এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় সোমবার (৭ অক্টোবর) আবরারের বাবা ১৯ জনকে আসামি করে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেছেন। রাতেই ১০ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এ নিয়ে আবরার হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মোট ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হলো। এই হত্যাকাণ্ডের পর সোমবার রাতে ১১ জনকে স্থায়ীভাবে সংগঠন থেকে বহিষ্কারের কথা জানায় ছাত্রলীগ। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সাতজনের নাম ছাত্রলীগের বহিষ্কৃতদের তালিকাতেও আছে। এরা হলেন- মেহেদী হাসান রাসেল, মুহতাসিম ফুয়াদ, মেহেদী হাসান রবিন, অনিক সরকার, মেফতাহুল ইসলাম জিয়ন, ইফতি মোশাররফ সকাল ও মুনতাসির আল জেমি।
উল্লেখ্য, রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। সোমবার ভোরে শের-ই-বাংলা হলের প্রথম ও দ্বিতীয় তলার সিঁড়ির মধ্যবর্তী জায়গায় আবরারের নিথর দেহ পাওয়া যায়। তার শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন ছিল। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা।