ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,নারায়নগঞ্জ প্রতিনিধি,০৪ অক্টোবর : নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লায় এলিট শ্রেণির ক্লাব দ্যা ইউনাইটেড অ্যাসোসিয়েশনে (ইউনাইটেড ক্লাব হিসেবে পরিচিত) অভিযান চালিয়েছে ডিবি পুলিশ । এসময় ক্লাবের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন তাপুসহ ৭ জনকে আটক করা হয়েছে। আটকের পর দীর্ঘ সময় দেন-দরবার করে জুয়া আইনে তাদেরকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠিয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে পঞ্চবটির ধর্মগঞ্জে অবস্থিত ইউনাইটেড ক্লাবে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করার পর শুক্রবার বিকেলে আদালতে পাঠিয়েছে। তাদের কাছ থেকে ৩ বান্ডেল তাস, নগদ ২০ হাজার ৫শ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।
তারা হলেন ক্লাবের সভাপতি ফতুল্লার ধর্মগঞ্জ এলাকার মৃত আব্দুল মজিদ মিয়ার ছেলে তোফাজ্জল হোসেন তাপু (৫৫), মৃত এম এ কুদ্দুসের ছেলে ইকবাল হোসেন (৫৬), আবুল হাসেমের ছেলে কামাল হোসেন (৪৯), আজমেরীবাগ এলাকার মৃত আব্দুল হাইয়ের ছেলে শামসুজ্জামান (৪০), চাষাঢ়ার মার্ক টাওয়ার এলাকার মৃত আব্দুল জব্বারের ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান (৫২), পঞ্চবটির মৃত ওবায়দুল হক ভূইয়ার ছেলে এবিএম শফিকুল ইসলাম (৫০) ও ঢাকার কেরানীগঞ্জের কাজিরগাঁও এলাকার মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে আফজাল হোসেন (৪০)।
এদিকে অভিযানের নেতৃত্ব দেয়া ডিবি পুলিশের এসআই আরিফকে শুক্রবার দীর্ঘ সময় ধরে তাদের ফোনে কল দেয়া হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ করেনি। তিনি রহস্যজনক কারণে নারায়ণগঞ্জের কোনো সাংবাদিকের ফোন রিসিভ করেননি বলেও জানা গেছে।
জানা গেছে, ফতুল্লার পঞ্চবটির ধনাঢ্যদের ক্লাব হিসেবে পরিচিত ইউনাইটেড ক্লাব। প্রতিরাতেই এখানে বসে জুয়ার আসর। বিশেষ করে প্রত্যেক বৃহস্পতিবার রাতে শুরু হয় আসরটি। চলে শুক্রবার ভোর পর্যন্ত। চাউর আছে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া জুয়ার আসর পরদিন রাত পর্যন্ত গড়ায়। জুয়ার আসরে নারায়ণগঞ্জে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের আগমন ঘটে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রগুলো জানায়, ইউনাইটেড ক্লাবটি আগে সবার জন্য খোলা থাকলেও এখন এখানে যাতায়াত এলিট শ্রেণির মানুষদের। সমাজের শিল্পপতি, বিত্তবানরাই এ ক্লাবে আসেন এবং শেষ রাত পর্যন্ত অনেকেই অবস্থান করেন। ক্লাবের ভেতরে ভিআইপি একটি রুম রয়েছে। সেখানে লিস্টেট লোকজনই যেতে পারে। নিজেদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট ছাড়া অন্যরা সেখানে প্রবেশ করতে পারেন না। থাকে কড়া সিকিউরিটিও।
সূত্র আরও জানায়, ক্লাবটির ওই ভিআইপি রুমটিতে নির্দিষ্ট লোকজনই বসেন। তবে, কি করেন সেখানে মধ্যরাত, শেষ রাত পর্যন্ত তা নিশ্চিত হতে না পারলেও তারা সেখানে জুয়ার আসর জমান, মদ পান করেন বলেই মনে করা হয়। এছাড়াও এখানে যারাই তাদের অতিথি হিসেবে আসে প্রত্যেকেই দামি দামি গাড়িতে করে আসেন।
নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার পরিদর্শক সাজ্জাদ রোমন জানান, অভিযান চালিয়ে জুয়া খেলার সময় তাদেরকে গ্রেফতারের পর মামলা দায়ের করে শুক্রবার বিকেলে আদালতে পাঠানো হয়েছে।