ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১৮ সেপ্টেম্বর : রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেওয়ায় যারা জড়িত থাকবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। তিনি বলেন, পাসপোর্টের সঙ্গে শুধু পুলিশ জড়িত থাকে না। এর সঙ্গে জন্মনিবন্ধন, জাতীয় পরিচয়পত্র, চেয়ারম্যান সার্টিফিকেটসহ অন্যরাও জড়িত থাকে। তাদের বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আসন্ন শারদীয় দুর্গা পূজা উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা সংক্রান্ত সভা শেষে তিনি এ কথা বলেন।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট পেতে অনেক সংস্থা জড়িত থাকে। স্থানীয় চেয়ারম্যান, জন্মনিবন্ধন সনদ যিনি দেন, ওয়ার্ড কমিশনার, জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরির পর পুলিশ ভেরিফিকেশনের দায়িত্বরতদেরও দায়িত্ব আছে। যারা এসব কাজে জড়িত থাকে আমরা তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। রোহিঙ্গারা যেন আর পাসপোর্ট না পায় সেই ব্যবস্থা নিচ্ছি। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা যখন এ দেশে ঢুকেছে তখন ৮ লাখ রোহিঙ্গার বায়োমেট্রিক করা হয়েছে। এর পর আরও ৩ লাখ রোহিঙ্গা এসেছে। মোট ১১ লাখ রোহিঙ্গা বর্তমানে বাংলাদেশে আছে। তাদের আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। ফলে তারা পাসপোর্ট করতে গেলে সফটওয়্যা ধরা পড়ছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তার পরও যারা অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে বা কৌশলে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট দেওয়ার কাজ করছেন তাদের আইনের আওতায় নেওয়া হয়েছে। এতে যদি পুলিশ জড়িত থাকে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে। যারা সহযোগিতা করছেন তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।’আসাদুজ্জামান খান বলেন, সারাদেশে পূজাম-পে সার্বক্ষণিক সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রায় ৩ লাখ ৫০ হাজার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিয়োজিত থাকবেন। দুর্গাপূজায় বিঘ্ন সৃষ্টিকারী ও দুষ্কৃতিকারীদের অশুভ তৎপরতা রোধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ জন্য গোয়েন্দা সংস্থাসহ আমরা সবাই সজাগ থাকব।’প্রতিটি পূজাম-পে স্থানীয়দের সমন্বয়ে একটি আইনশৃঙ্খলা কমিটি থাকবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘স্বেচ্ছাসেবকও থাকবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তারা সমন্বয় করে কাজ করবে। এবার পূজাম-পে মহিলা স্বেচ্ছাসেবকও থাকবে। স্থানীয় বখাটেরা যেন পূজাম-পে নারীদের উত্ত্যক্ত করতে না পারে সে জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ স্বেচ্ছাসেবকরা প্রস্তুত থাকবে।’