প্রাথমিকে বৃত্তি ও অর্থের পরিমাণ বাড়ছে

SHARE

ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,২৮ আগস্ট : প্রাথমিক পর্যায়ে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী ও ইবতেদায়িতে বৃত্তির সংখ্যা ও অর্থের পরিমাণ বাড়ানোর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বর্তমানে দেশের প্রায় ১ লাখ ৫ হাজার শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়। এই সংখ্যা বৃদ্ধি মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।আগামী ১৭ নভেম্বর থেকে পঞ্চম শ্রেণির সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষা শুরু হবে। ২৪ নভেম্বর পর্যন্ত এই পরীক্ষা চলবে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও সমাপনী ও ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফি ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।

পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে আয়োজনে গত ২৪ জুলাই প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ে পরীক্ষা সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।বৈঠক সূত্রে জানা যায়, বৈঠকে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় পাশ করা শিক্ষার্থীদের বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব তোলা হয়। এতে সকলে সম্মতি জানিয়েছেন। বর্তমানে পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে সারা দেশে ৩৩ হাজার ট্যালেন্টপুল ও ৪৯ হাজার ৫০০ জনকে সাধারণ কোটা সহ মোট ৮২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকে বৃত্তি প্রদান করা হয়।এছাড়া ইবতেদায়ি পরীক্ষার ফলের ওপর ভিত্তি করে ৭ হাজার ৫০০ জনকে ট্যালেন্টপুল ও ১৫ হাজার সাধারণসহ মোট ২২ হাজার ৫০০ জনকে বৃত্তি প্রদান করা হয়। এসব শিক্ষার্থীদের বৃত্তি বাবদ ট্যালেন্টপুলে মাসিক ৩০০ টাকা আর সাধারণ বৃত্তি বাবদ মাসিক ২২৫ টাকা করে দেয়া হয়।সভায় সারা দেশে ৮২ হাজার ৫০০ জন শিক্ষার্থীর বদলে এক লাখ ও ২২ হাজার ৫০০ জনের বদলে ৫০ হাজার অর্থাৎ সর্বমোট দেড় লাখ শিক্ষার্থীকে প্রতিবছর বৃত্তি প্রদান করার বিষয়ে সকলে সম্মতি জানান। পাশাপাশি বৃত্তির অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়।আরও জানা যায়, এ আলোচনার ভিত্তিতে বৃত্তির সংখ্যা বাড়ানোর প্রস্তাব দিতে ডিপিই ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডকে প্রস্তাব পাঠানোর নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাদের প্রস্তাবনা পাওয়ার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় বৈঠকের মাধ্যমে যৌক্তিক সংখ্যা নির্ধারণ করবে।এ ব্যাপারে ডিপিই মহাপরিচালক এফ এম মনজুর কাদির বলেন, ‘প্রাথমিক ও সমাপনী পরীক্ষার ফলের ভিত্তিতে বৃত্তি প্রদানের সংখ্যা ও অর্থ বাড়ানোর বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সভায় প্রতিমন্ত্রী ও সচিবসহ সকলে সম্মতি জানিয়েছেন। ওই সভার পর অধিদপ্তর ও মাদ্রাসা বোর্ডকে এ বিষয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে। যেহেতু প্রতি বছর শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ছে তাই বৃত্তির সংখ্যাও বাড়াতে হবে।’