ওয়ার্ল্ড ক্রাইম নিউজ ২৪.কম,ঢাকা প্রতিনিধি,১৭ আগস্ট : খাবার হিসেবে ডিমের জনপ্রিয়তা অনেক। কমদামে আমিষেরও ভালো জোগান পাওয়া যায় ডিম থেকে। প্রতিদিনই ডিম খাওয়া হয়েই থাকে। ডিম ভেজে, সেদ্ধ করে কিংবা রান্না করে খেলেও ডিমের খোসা ফেলেই দেওয়া হয়। আবর্জনা হিসেবে ডিমের খোসা ফেলে দিলেও এর উপকারিতা সম্পর্কে জানেন না অনেকেই। নিত্যদিনের অনেক কাজেই লাগে ডিমের খোসা যেগুলো জানলে চমকে উঠবেন আপনি। চলুন জেনে নেওয়া যাক ডিমের খোসা কী কী কাজে আসে।মাটির উর্বরতা বাড়াতে :
যারা বাগান করতে পছন্দ করেন তাদের অনেকেরই হয়তো জানা নেই ডিমের খোসা মাটির উর্বরতা বাড়াতে সাহায্য করে থাকে। এজন্য খুব বেশি কিছু করতে হবে না। পরিত্যক্ত ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মাটির সঙ্গে মিশিয়ে নিলেই হবে। কয়েকদিনের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে। বিশেষ করে যারা টবে গাছ লাগিয়েছেন সেখানে এই পদ্ধতিটি বেশি কাজে দেবে। কেননা, ডিমের খোসাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং মিনারেলের উপস্থিতি।বাগানের পোকা তাড়াতে :ডিমের খোসা শুধু মাইর উর্বরতাই বাড়ায় না এটি বাগানকে ক্ষতিকারক পোকার উপদ্রব থেকেও মুক্ত রাখে। গাছের গোড়ায় ডিমের খোসা গুঁড়ো করে ছড়িয়ে রাখলে মাটির উর্বরতা বাড়ার পাশাপাশি পোকাও হয়ে যাবে দূর। ডিমের খোসার কারণে পোকা গাছের থেকে দূরত্ব বজায় রেখে চলবে।ত্বকের যত্নে :রূপচর্চার বেলাতেও ডিমের খোসার বেশ সুনাম রয়েছে। মসৃণ ও সতেজ ত্বক পেতে চাইলে ডিমের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। ডিমের সাদা অংশের সাথে ডিমের খোসা গুঁড়ো করে মিশিয়ে নিতে হবে ভালো ভাবে। এবারত্বকের মধ্যে এই মিশ্রণটি মেখে নিন। মিনিট পনেরো অপেক্ষা করার পর আলতো ঘষে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। দেখবেন মুখের কালচে ভাব দূর হয়ে গেছে। সেই সাথে ত্বক হয়ে উঠেছে উজ্জ্বল এবং মসৃণ। ব্রণ থেকেও মুক্তি মিলতে এই পদ্ধতিটি ব্যবহার করলে। তবে খেয়াল রাখতে হবে সপ্তাহে দুইবারের বেশি এটি ব্যবহার করা যাবে না।কফির তিক্ততা কমাতে :কফি অনেকেই পান করেন না এটির তিক্ততার জন্য। অতিরিক্ত চিনি দিয়ে কফি খেলে এর স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়। তাই ইচ্ছে থাকলেও কফি এড়িয়ে চলেন অনেকেই। এক্ষেত্রে সমাধান হতে পারে ডিমের খোসা। কাপে কফি মেশানোর আগে এর সাথে এক চিমটি ডিমের খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে নিন। কফি বানানো হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে চুমুক দিবেন না। একটুই অপেক্ষা করার পর চুমুক দিলেই তাজ্জব বনে যেতে পারেন। দারুণ স্বাদের কফি পাবেন কোন তিক্ততা ছাড়াই।