নামাজ আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সেতুবন্ধনের অন্যতম মাধ্যম। আশেক-মাশুকের আত্মা বন্ধনের স্থান। এ কারণে নামাজ যদি পরিপূর্ণ হক আদায় করে পড়া যায় তবেই কুরআনের ঘোষণা যথাযথ বাস্ববায়ন হবে। আল্লাহ বলেন, ‘আপনি আপনার প্রতি প্রত্যাদিষ্ট কিতাব পাঠ করুন এবং নামাজ কায়েম করুন। নিশ্চয় নামাজ অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে। আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ। আল্লাহ জানেন তোমরা যা কর। (সুরা আনকাবুত : আয়াত ৪৫) যেহেতু ঈমানের পরে নামাজের স্থান তাই ফরজ ও সুন্নাত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জন প্রত্যেক মুসলমানের জন্য অতিব জরুরি। মাগরিবের ফরয এবং সুন্নাত আদায়ের পর দুই রাকাআত করে ছয় থেকে বিশ রাকআত নফল নামাজকে আওয়াবিনের নামাজ বলা হয়। এ নামাজ আদায়ে বার বছরের সাওয়াব রয়েছে।
হাদিসে এসেছে, কোনো ব্যক্তি মাগরিবের পর ছয় রাকাআত নামাজ আদায় করলে এবং ইশার নামাজের পূর্বে কোনোরূপ মন্দ কথা না বললে তাকে এর বিনিমেয়ে বার বছরের ইবাদাতের সাওয়াব দেয়া হবে।
অপর বর্ণনায় এসেছে, পঞ্চাশ বছরের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। (ইবনে মাজাহ, আত তারগীব)
হযরত হুজাইফা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ‘আমি রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে এসে তার সঙ্গে মাগরিবের নামাজ আদায় করলাম। তিনি মাগরিবের পরে ইশার সালাত পর্যন্ত নফল সালাতে রত থাকলেন।’ (ইবনু আবী শাইবা, মুসান্নাফ, নাসাঈ)
হজরত আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, সাহাবায়ে কেরাম মাগরিব ও ইশার মধ্যবর্তী সময়ে সজাগ থেকে অপেক্ষা করতেন এবং নফল সালাত আদায় করতেন।’
হযরত হাসান বসরি বলতেন, ইশার মধ্যবর্তী সময়ের নামাযও রাতের নামায বা তাহাজ্জুদের নামায বলে গণ্য হবে। (বাইহাকী)
পরিশেষে…
নামাজ হচ্ছে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের সবচেয়ে উত্তম পন্থা। এ নামাজের মাধ্যমেই দুনিয়া ও আখিরাতের কল্যাণ লাভ সম্ভব। হাদিসে এসেছে, কিয়ামতের দিন সর্ব প্রথম নামাজের হিসাব নেয়া হবে। সুতরাং আল্লাহ তাআলা সমগ্র মুসলিম উম্মাহকে ফরজ ও সুন্নাত নামাজের পাশাপাশি নফল নামাজ আদায় করে আখিরাতের সম্বল লাভের তাওফিক দান করুন। আমিন।